নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, ভবিষ্যতমুখী লার্নিং ইকোসিস্টেম ও এন্ট্রাপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন তৈরি করতে একটি অভিভাবক পোর্টাল তৈরি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ইউএনডিপির উদ্যোগে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, অনেক অভিভাবক এখনও এন্ট্রাপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন সম্পর্কে পরিচিত নন। তারা জানেন না বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তাই আমরা তাদের সচেতন করতে ইউএনডিপির সহযোগিতা চাইবো।
তিনি আরও বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপযোগী তারুণ জনশক্তি গড়ে তুলতে স্কুল অব ফিউচার, অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ল্যাব, স্পেশালাইজড ল্যাব, আইটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ হাসিনা আইইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউশন অব ফ্রন্টিয়ার টেকনলোজি প্রতিষ্ঠা করছে। এরইমধ্যে আমরা ১৬৯টি কোম্পানিকে মূলধন সহায়তা দিয়েছি এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১৫০টি স্টার্টআপ তহবিল পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। এজন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ইয়ুথ কো-ল্যাব ও ইয়াং বাংলা ইয়ুথকে উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
ইউএনডিপি, আইডিবি, সিটি ফাউন্ডেশন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও লাইফ ক্যাসেল পার্টনার যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় রিসোর্স হিসেবে কাজে লাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ইয়ুথ কো-ল্যাব ব্যাংককের পলিসি স্পেশালিস্ট ইলি হরক, লাইফ ক্যাসেলের সিইও বিজন ইসলাম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের হেড অপ পোর্ট ফোলিও বিজনেস হাসান এ আরিফ, সিটি ফউন্ডেশনের কর্মকর্তা রাজেশ শেখারন, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহমুদ সোলাইমান অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য সফটওয়্যার ‘ট্রাভনেট টেক’