বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: মাদক মামলায় আরিয়ান খান সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জামিনের নির্দেশনামায় জানাল বম্বে হাইকোর্ট। আদেশে উচ্চ আদালত উল্লেখ করেছে, আরিয়ান খানের কাছ থেকে ‘কোনও আপত্তিকর পদার্থ’ বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।
আদালত আরও জানিয়েছে, আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মামলার অন্য অভিযুক্ত মুনমুন ধামেচার মধ্যে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান সহ ২০ জনকে ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এরপর আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩ অক্টোবরে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় আর্থার রোড জেলে।
আরিয়ানদের কাছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য মাদক ছিল বলে জানিয়েছে আদালত। আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেও তিনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত তিনজন একই প্রমোদতরীতে ছিলেন। কিন্তু তা থেকে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় না। আদালত আরও জানিয়েছে, পুলিশের নেওয়া জবানবন্দি তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে।
বোম্বে হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে, ‘আটক করার সময় তারা মাদক সেবন করেছিলেন কিনা তা প্রমাণ করার জন্য আবেদনকারীদের কোনও ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়নি।’ আদালতে এনসিবি-র যুক্তি হল, অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনসিবি-র আইনজীবী সিংয়ের উদ্দেশে মুম্বাই হাইকোর্ট বলে, ‘এখানে স্পষ্ট করা উচিত যে এই ধরনের স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতি তদন্তকারী সংস্থা বিবেচনা করতে পারে শুধুমাত্র তদন্তের উদ্দেশ্যে একটি অনুমান রচনা করার জন্য, কিন্তু আদালতে এটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।’ কোর্টের আদেশ জানিয়েছে, ‘শুধুমাত্র আবেদনকারীরা ক্রুজে ভ্রমণ করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ধারা ২৯-এর বিধান প্রয়োগ করা যায় না।’ বোম্বে হাইকোর্ট এই বলে শেষ করেছে যে, ‘এটা অনুমান করা কঠিন যে আবেদনকারীরা বাণিজ্যিক পরিমাণ (মাদকের) অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’
আরো পড়ুন: