প্রচ্ছদ

রাতেই খুলে দেয়া হবে টঙ্গী সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর ওপর টঙ্গী সেতুর ধসে যাওয়া স্ল্যাব সংস্কার করা হয়েছে। রাতেই খুলছে টঙ্গী সেতু।

শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সময় এগিয়ে আনা হয়েছে।

এতে গত ১০ দিন ধরে চলা অসহনীয় যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কের চলাচলকারী যাত্রীদের।

গত ৯ নভেম্বর রাত তিনটার দিকে ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর তুরাগ নদীর ওপর টঙ্গী সেতুর পুরনো স্ল্যাব ড্যামেজ থাকায় হঠাৎ স্ল্যাবের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এতে ওই পথে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ধীরগতি এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।

পরে বিআরটি কর্তৃপক্ষ ভাঙা অংশ মেরামত করে দিলে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সেতুর দুই লেনে যানবাহন চলাচল শুরু করে। পরে ঝুঁকি বিবেচনায় ওইদিন রাত ১২টা থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল পুরোদমে বন্ধ করে দিয়ে ১২ দিন সময় নেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শন করে তা সংস্কারের জন্য ১২ দিন সময় নেন। সে মোতাবেক ২১ নভেম্বর সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিআরটি কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্ব বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই সেতুটিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিআরটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (সেতু অংশ) মো. মহিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেবো। সেতুর যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা সংস্কার করা হয়েছে। আজকে মধ্যরাতে সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে তারও কিছু সময় আগে অর্থাৎ রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই খুলে দেবো। তখন গাজীপুরের গাড়িগুলো সোজা চলাচল করবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে ওখানকার (সংস্কার করা অংশে) একটি কিউরিং টেস্ট করিয়েছিলাম, তাও হাতে পেয়েছি। টেস্ট হাতে পাওয়ার পরই সেতুটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আগামী জানুয়ারিতে পশ্চিম অংশের নির্মাণাধীন পাঁচ লেনের সেতুটি খুলে দেওয়া হবে এবং পুরনো সেতুটি ভেঙে সেখানে পাঁচ লেনের সেতু নির্মাণ করা হবে।

আরো পড়ুন:

আজ শনিবার রাজধানীতে বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট-দর্শনীয় স্থান

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *