ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে সবার আগ্রহ আছে এবং অনেক দেশ এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশও তার অবস্থান অন্যান্যদের কাছে স্পষ্ট করবে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর রাতে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ’ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশের যে অবস্থান, আগামী দিনগুলোতে সেটিও আমরা পরিষ্কার করবো। এটি নিয়ে কাজ করছি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সম্প্রতি ফ্রান্সের সঙ্গে বৈঠকের পরে যে যৌথ বিবৃতি বের হলো সেখানে একটি পুরো প্যারা আছে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে। এটি আরও বেশি বর্ধিত করে আগামীতে আমাদের যে অবস্থান সেটাও আমরা সবার কাছে পরিষ্কার করবো।’
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কিছু দেশ হয়তো কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং তারা তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি আলাদা করে বলছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি অবস্থান আছে। আবার ইউরোপের একাধিক দেশের নিজস্ব অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রেরও অবস্থান আছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের একটি অবস্থান একক একটি দেশের পক্ষে যতটা করা সহজ আইওরা‘র মতো একটি সংস্থার পক্ষে সবার জন্য প্রযোজ্য একটি অবস্থান তৈরি করাটা কিছুটা কঠিন হবে। তবে যেহেতু এই বিষয়ে সবার আগ্রহ রয়েছে এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি যোগাযোগ রয়েছে। এসব কারণে সবার আশা—আগামীতে এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
আগামী বছরের জুলাইতে আবার বৈঠক, তখন বিস্তারিত আলোচনা হবে। এই সময়ের মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব চিন্তাভাবনা আরও বেশি পরিষ্কার হবে বলে তিনি জানান।
এবারের আইওরা’র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলম বলেন, আমরা কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা করেছি কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি হবে উন্মুক্ত, স্বাধীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ। আমরা একক কোনও দেশ বা গ্রুপের আধিপত্য চাই না।
ঢাকা ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ
মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলম জানান, এবারের আইওরা’র বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবার মতামত পাওয়ার পরে এটির কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের যে ভিজিবিলিটি ও বাংলাদেশের অবদান সেটি সবাইকে বোঝানো সম্ভব হবে।
তিনি জানান, আমরা আশা করছি আগামী দুই বছরে ছয় থেকে দশটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করবো।
সচিব খোরশেদ আলম আরও জানান, অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যেমন‑ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সময়ে সতর্কীকরণ কিভাবে করা হয়, এ বিষয়ে আমরা অনেক দেশের থেকে এগিয়ে আছি। আশ্রয়কেন্দ্র কিভাবে কাজ করে বা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ কিভাবে পৌঁছায় বিষয়গুলো অনেকের জন্য শিক্ষণীয়। এ বিষয়গুলো আমরা সবাইকে জানাতে চাই।
আরো পড়ুন: