ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সাকিব আল হাসানের মতো প্রতি ম্যাচে সমীহ জাগানো বোলিংয়ের পাশপাশি খুব বেশি উইকেট শিকারীও তিনি নন। বিশ্বকাপে প্রথম ও সুপার টুয়েলভ মিলিয়ে তাসকিন আহমেদের নামের পাশে জমা পড়েছে মোটে ৬ উইকেট।
তবে উইকেট শিকার দিয়ে তার বোলিংয়ের যথাযথ মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের কোচ সারোয়ার ইমরানের চোখে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল বোলিং করেছেন তাসকিন।
ইমরানের মূল্যায়ন, বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে তাসকিনই একমাত্র জায়গামত বল ফেলতে পেরেছে এবং সফল হয়েছে। তবে বিনয়ী তাসকিন নিজের বোলিং নিয়ে সেভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি। মানছেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম পারফরমেন্স ভাল হয়নি।
তবে সে সব নিয়ে হতাশ না হয়ে আবার নতুন করে সব শুরুর দিকে চোখ তাসকিনের। যে কারণে মুখে এমন কথা, ‘সত্যি বলতে আশা অনুযায়ী এবারের বিশ্বকাপে আমাদের দলগত পারফরম্যান্স ভালো হয়নি; কিন্তু এটা এখন অতীত। পাকিস্তান সিরিজে নতুন করে শুরু করতে চাই। অবশ্যই কঠিন হবে। আমাদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করতে চাই।’
বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে একটি ম্যাচও জেতেনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিতে বিদায় নেয়ার আগের পর্যন্ত দুর্বার খেলেছে পাকিস্তান। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাবর আজম বাহিনীর বিপক্ষে সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ?
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাসকিন স্বীকার করেছেন, কাজটি সহজ হবে না। তাদের (পাকিস্তানের) সাথে ভাল করতে হলে সব বিভাগেই অনেক ভাল খেলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ ছাড়াই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের শীর্ষ একটি দল। বিশ্বকাপে তারা দারুণ খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত সেমিফাইনালে হেরে গেছে; কিন্তু তারা সব বিভাগেই ভালো করছে। তাদের সাথে ভালো করতে হলে আমাদেরও সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। সহজ হবে না, কিন্তু আমরা আশাবাদী।’
তাসকিনের অনুভব আগের চেয়ে তার উন্নতি হয়েছে। তবে আরও উন্নতির সময় আছে। তাই মুখে এমন কথা, ‘সত্যি বলতে বোলিংয়ে উন্নতির জন্য গত ২-৩ বছর ধরেই প্রসেস চলছে। এটা দুই-আড়াই মাসে হয়নি। এর জন্য গত ২-৩ বছর ধরে কষ্ট করছি। আগের চেয়ে উন্নতি হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। এখনও প্রসেসেই আছি। এখনও অনেক কিছু শিখে ফেলিনি বা অনেক কিছু করে ফেলিনি। আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে গতি ও লেন্থ ধারাবাহিক হয়েছে। তবে আমি এখনও শিখছি। দেশি ও বিদেশি কোচরা আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। ভবিষ্যতে একজন বিশ্বমানের বোলার হওয়া, বড় মাপের বোলার হওয়া আমার স্বপ্ন। এজন্য প্রসেস ঠিক রাখছি। ভালো খারাপ হবেই, কিন্তু প্রসেস ঠিক রাখতে চাই।’
পাকিস্তান থেকে অনেক পেসার উঠে এসেছেন। বাংলাদেশে সে তুলনায় পেসার কম। তাসকিনের আশা এ সিরিজ থেকে পাকিস্তানী পেসারদের সাথে কথা বলে কিছু শেখা যাবে।
তিনি বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে আমরা পেস বোলিংয়ে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে; কিন্তু আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। যেহেতু একসাথে সিরিজ খেলব, সুযোগ হলে ওদের সাথে কথা বলব। ওরা এমন কিছু শেয়ার করতে পারে যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের কাজে লাগতে পারে। সব ধরনের ফরম্যাটে সব ধরনের ফাস্ট বোলার তাদের আছে। এশিয়ান কন্ডিশন থেকে এরা অন্য পর্যায়ের ফাস্ট বোলার পাচ্ছে- ব্যাপারটা প্রেরণাদায়ক। এজন্য অবশ্য ওদের কন্ডিশনও ভূমিকা রাখে। আশা করছি ওদের মত আমাদেরও ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আসবে ইনশাআল্লাহ।’
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশকে হারানোই ছিল অস্ট্রেলিয়ার টার্নিং পয়েন্ট: অজি অধিনায়ক