নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় ৯ মাস পিছিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
ফলে দেড় বছর পর প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে ২২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় ঘণ্টার এ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন এবং ভোকেশনালে ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাড়াও আটটি দেশ থেকে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবার পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের লিখিত অংশে ৮টি প্রশ্নের মধ্যে ২টি উত্তর দিতে হবে। আর এমসিকিউ অংশে ২৫টির মধ্যে ১২টির উত্তর। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থীদের লিখিত অংশে ১১টির মধ্যে ৩টি এবং এমসিকিউ অংশে ৩০টির মধ্যে ১৫টি উত্তর দিতে হবে।
দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ পাবলিক পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ দেওয়া হয়েছে বেশকিছু বিধিনিষেধ। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বেঞ্চে দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। শিক্ষার্থীদের হাত জীবাণুমুক্ত করে এবং তাপমাত্রা মেপে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে। কোনো পরীক্ষার্থীর মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা গেলে আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রতি কেন্দ্রই থাকবে আইসোলেশন সেন্টার।
এ ছাড়া কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক কেন্দ্রে আসতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে না পারলে রেজিস্টারে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবে বলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এদিকে পাবলিক পরীক্ষার বিষয়টি সামনে আসলেই চলে আসে প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা। তবে, সে শঙ্কা এবার উড়িয়ে দিয়ে শিক্ষাবোর্ড আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলছেন, গুজব ছড়ালে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
তিনি জানান, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রেজারি বা থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্ন বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না।
আরো পড়ুন: