নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিসের কারণে দেশের অন্তত ৬১ ভাগ মানুষ কোনও না কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। নন কমিউনিকেবল অন্যান্য রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস রোগটি নিরবে শরীরে চলে আসে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষজনও অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বা ডায়াবেটিস নিয়ে তেমন একটা সচেতন নয়।’
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নন কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের মাত্র ১২ ভাগ মানুষের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবার অনেক মানুষই টাকার অভাবে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যান না। এ বিষয়ে সবার জানা প্রয়োজন, শহর বা গ্রামের প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই এখন ডায়াবেটিস রোগের প্রায় সব ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খুব দ্রুতই ডায়াবেটিস রোগের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামগ্রী ইনসুলিনও বিনামূল্যে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে পাওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাও মানুষ ঘরের পাশে থাকা যেকোনও হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিকেই পাবেন।’
মন্ত্রী জানান, বিশ্ব থেকে ২১ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ডোজ হাতে এসে পৌঁছেছে। এ মাসেই আরও প্রায় ৪ কোটি ডোজ চলে আসবে। প্রায় ৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মানুষকে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকেও নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে ৩-৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এভাবে চললে আমরা দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারবো।’
ঢাকার স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্রের স্বল্পতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারছে না, সভায় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা গতকালই (বুধবার) আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী, খুব দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত স্কুলগুলোতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের আমরাই ভ্যাকসিন প্রদান করবো।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) এর সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আহমেদুল কবীর, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব সায়েফ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফয়েজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্নদের সমস্যা হয়েছে বেশি: গবেষণা