প্রচ্ছদ

৪০০ জোড়া যমজ আছে যে গ্রামে

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ভারতে প্রতি বছর ১ হাজার নবজাতকের মধ্যে ৯ জোড়া যমজ সন্তান জন্ম নেয়। তবে দেশটিতে এমন এক রাজ্য আছে যেখানে প্রতি হাজারে ৪৫ জন শিশুই হয় যমজ।

ওই রাজ্যের নাম কেরালা। এই রাজ্যের কোদিনহি নামের ছোট্ট এক গ্রামে অন্তত ৪০০ জোড়া যমজ মানুষ বাস করেন যা গবেষকদের কাছে একটি রহস্য হয়ে আছে।

কোচি থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত কোদিনহি গ্রামে ২ হাজার পরিবারের বাস। ২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী, সমুদ্রের পাড়ের এই গ্রামটিতে ৪০০ জোড়া যমজ মানুষ থাকেন। তবে ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এখন তা বেড়ে ৪৫০ জোড়া হয়েছে। কেন এই গ্রামে যমজদের এমন অবিশ্বাস্য আধিপত্য তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।

এখনও পর্যন্ত এর পেছনে পরিষ্কার কোনও কারণ খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে গবেষকদের এক বিশাল দল গিয়েছিলেন কোদিনহি গ্রামে। হায়দরাবাদের সিএসআইআর-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউসার বায়োলজি, কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশিয়ান স্টাডিজ থেকে শুরু করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানি থেকে গবেষকরা গিয়েছিলেন সেখানে। তারা এই গ্রামের বহু যমজের শরীর থেকে লালারস ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন।

কিন্তু দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েও এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এত যমজের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি।

কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ই প্রীতম উল্লেখ করেছেন, যমজের রহস্য নিয়ে একাধিক জল্পনা থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে কিছুই প্রমাণিত হয়নি।

তিনি জানান, অনেকের ধারণা জিনগত কারণে ওই গ্রামে এত যমজের জন্ম হয়েছে,কেউ আবার বলছেন এই গ্রামের আবহাওয়ায় এমন কোনও উপাদান হয়তো রয়েছে যা অনুঘটক হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার গ্রামবাসীদের খাদ্যাভ্যাস থেকে এত যমজ সন্তানের জন্ম হচ্ছে এমনটা দাবি করছেন। তবে এর কোনোটাই প্রমাণিত হয়নি।

গ্রামটিতে ঢোকার মুখেই পর্যটকদের উদ্দেশে একটি নীল বোর্ড টানানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ঈশ্বরের নিজস্ব যমজ গ্রাম কোদিনহিতে স্বাগতম’। যমজদের নিয়ে ভারতের একমাত্র সংস্থা টুইনস অ্যান্ড কিনস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পি ভাস্কর জানান, কোদিনহিতে এত যমজ জন্মের কারণ কী তা জানতে আগ্রহী এখানকার মানুষও।

আরো পড়ুন:

শুরুটা ছিল রাস্তায় ব্যাগ বিক্রি করে, এখন ২৫০ কোটি টাকার মালিক!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *