লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কাস্টার্ড অ্যাপেল বা আতা ফল স্বাদে কিন্তু বেশ মিষ্টি। রয়েছে সুগন্ধ এবং একটা নরম শাঁসালো ভাব। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস।
আতা ফলে নানাগুণ থাকা সত্ত্বেও এই ফল খাবেন না কি খাবেন না, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ কিংবা পিসিওডি র মতো সমস্যায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ফল খাওয়া নিয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা যায়।
গবেষণা অনুসারে, আতা ফল স্বাদে মিষ্টি হলেও ডায়াবটিসের রোগীরা আনায়াসেই খেতে পারেন। কারণ সেক্ষেত্রে এই বিশেষ ফল লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা লো জিআই ফুড হিসেবে ধরা হয়। এই জাতীয় খাবার বা ফল চট করে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে না। অর্থাৎ ব্লাড সুগারের লেভেল হঠাৎ বাড়বে না।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা হার্ট এবং সার্কুলেটরি সিস্টেমের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করবে। আলসার এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে এই ফল।
আতা ফলে রয়েছে বেশ কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা আপনাকে মসৃণ ত্বক উপহার দেবে। এই ফলে থাকা ভিটামিন সি চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি সীতাফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস বেশ কিছু ধরনের ক্যান্সার এবং টিউমারের চিকিৎসাতেও কাজে লাগে।
আতা ফল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক ভাবে বজায় রাখতে এবং কারও শরীরে কম থাকলে তার উন্নতিতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টি-ডায়াবেটিস এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে এতে। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, বিশেষ করে বি৬। তাই ফ্যাট ঝরাতে এবং শরীরের স্থূলভাব কমাতে কাজে লাগে এই ফল।
হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে এই আতাফল নিরাময়ের কাজ করে। প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকার ফলে এই ফল শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে। তার পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে আর্ত্রারাইটিসের সমস্যা থাকলে তার লক্ষণ বুঝতেও সাহায্য করে এই ফল। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকার এই ফল শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন জয়েন্ট থেকে অ্যাসিড সরিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: