প্রচ্ছদ

জৈব জ্বালানি ব্যবহার করে সফলভাবে উড়লো ইন্দোনেশিয়ার প্রথম ফ্লাইট

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: রাষ্ট্রীয় অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি দিরগানতারা ইন্দোনেশিয়ার সিএন-২৩৫ উড়োজাহাজে পরীক্ষামূলকভাবে পার্টামিনার জৈব জ্বালানি ‘বায়োভাতুর’ ব্যবহার করা হয়।

গতকাল বুধবার ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম জাকার্তা গ্লোব এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাকার্তা থেকে বান্দুং পর্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটের পরিচালনার মাধ্যমে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

রাষ্ট্রীয় অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি দিরগানতারা ইন্দোনেশিয়ার নির্মিত সিএন-২৩৫ উড়োজাহাজটিতে পরীক্ষামূলকভাবে পার্টামিনার জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।

দেশটির জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিএন-২৩৫ উড়োজাহাজে জৈব জ্বালানি “বায়োভাতুর” ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো উড্ডয়নের মাধ্যমে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করলাম। জাকার্তা থেকে বান্দুং পর্যন্ত উড়োজাহাজটিতে জৈব জ্বালানির ২ দশমিক ৪ শতাংশ মিশ্রণ রয়েছে।’

পাম কার্নেল তেল ও কেরোসিনের মিশ্রণ ব্যবহার করে পার্টামিনা ও বান্দুং ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইটিবি) ‘বায়োভাতুর’ তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রথমবারের মতো কোনো ফ্লাইটে ‘বায়োভাতুর’ বা ‘জেডটুপয়েন্টফোর’ ব্যবহার করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের রেগুলেশন অনুযায়ী, দেশটির সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে উড়োজাহাজের জ্বালানিতে ৫ শতাংশ জৈব জ্বালানির মিশ্রণ ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

পার্টামিনার প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর নিকি বিদ্যাবতী বলেন, ‘পরীক্ষার এই ফল ইঙ্গিত দেয় যে বায়োভাতুর ও জীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে খুব কমই পার্থক্য আছে।’

আরো পড়ুন:

প্রিন্সেসের মোবাইল ফোনেও ছিল পেগাসাস স্পাইওয়্যার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *