নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের। আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, নির্বাচনের সুযোগসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে জাতিসংঘ। এসব শর্তের আংশিক মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর কিছু শর্ত মানা হয়নি। বিশেষ করে জরুরি চিকিৎসা সেবার কিছু শর্ত মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থার মধ্যেই চুক্তি হচ্ছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মধ্যে সমঝোতা সই হবে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ সমঝোতা স্মারকে শনিবার ইউএনএইচসিআরের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সই করার কথা রয়েছে। ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে।
এপ্রিলের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায় সরকার। ভাসানচরে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা শুরু হয়। এ স্থানান্তর নিয়ে বিতর্ক এবং দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর গত জুনে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইউএনএইচসিআর।
আরো পড়ুন:
অনলাইন প্লাটফর্মে ঘৃণ্য বক্তব্য ও তথ্য বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে পদক্ষেপ চাইলো বাংলাদেশ