নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) ‘অসাধারণ সফলতা পুরস্কার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। এছাড়া প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও রিলেটেড বায়োটেকনোলজিতে অসামান্য অবদানের জন্য বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা থেকে ৬-৭ বছর পর পর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরি তিনটি হলো- আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট (ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠানিক), উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড, তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার। এবছর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ১৭৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ১০ নারী বিজ্ঞানী ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৭ তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালে বিনার বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসাধারণ সফলতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, বিনার বিজ্ঞানীরা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং, কনভেনশনাল ব্রিডিং ও অন্যান্য উন্নত কলাকৌশল প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ১৮টি বিভিন্ন ফসলের ৮৩টি মিউট্যান্ট জাতসহ সর্বমোট ১১৭টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এসব অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনা ও বিনার বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন।
আরো পড়ুন: