বিনোদন প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ইউটিউবে বলিউডের অনেকেরই নিজের চ্যানেল আছে। ব্যতিক্রম ছিলেন শাবনূর। ইউটিউবে এত দিন তার নিজস্ব কোনো চ্যানেল ছিল না। গত নভেম্বরে বলেছিলেন, ‘আমিও করতে পারি, ব্যস্ত থাকা হবে। ভক্তদের কাছাকাছি থাকা যাবে।’ কথা রেখেছেন শাবনূর। বছর পার না হতেই নিজের নামে চ্যানেল চালু করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউটিউবে ‘শাবনূর’ নামে একটা চ্যানেল চালু করেছেন ঢাকার চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে এই অভিনেত্রী।
গতকাল সন্ধ্যায় শাবনূর জানান, তার এই চ্যানেল চালুর ব্যাপারে বোন ঝুমুর সহযোগিতা করেছেন।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর দীর্ঘদিন ধরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। মাঝেমধ্যে দেশে এলেও খুব বেশি দিন থাকেন না। সেখানেই ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ বসবাস করছেন। অনেক দিন ধরে নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় না করলেও শাবনূরের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ভক্তদের কাছে তার আবেদন আগের মতোই। শাবনূরও ভক্তদের সেই ভালোবাসা বহু দূরের দেশে বসেও অনুভব করতে পারেন। আর তাই ভক্তদের আরও কাছাকাছি থাকতে ইউটিউব চ্যানেল চালু করলেন তিনি।
সিডনি থেকে শাবনূর বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম একটা ইউটিউব চ্যানেল করব। শেষ পর্যন্ত করা হলো। আগেই অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ করেছি। ইনস্টাগ্রামেও সক্রিয় আছি। আসলে এখন তো সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব। এত দিনে এসব মাধ্যমে না থাকার কারণে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, আমি কেন নেই। অনেকেই আপডেট জানতে চাইতেন। এসব কারণেই সবার কাছাকাছি থাকতে আমিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজির হলাম।’
১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নিজের ইউটিউবের ভিডিওতে শাবনূর বলেন, ‘বন্ধুরা, তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই, তোমাদের পাশে থাকতে চাই এবং তোমাদের ভালোবাসা পেতে চাই।’
সেই সঙ্গে ভক্তদের কাছে তাঁর ছোট্ট টিমেরও পরিচয় করিয়ে দেন। সেই টিমে আছে তিনজন খুদে সদস্য। তাদের একজন শাবনূরের ছেলে আইজান।
শাবনূর বলেন, ‘এই মূহূর্তে বিধিনিষেধের সময় কাটছে। বিধিনিষেধ জীবনের ডায়েরি খুব শিগগির ইউটিউবে আপলোড করব। পাশাপাশি মজার ও রুচিশীল কনটেন্টও ভক্তদের জন্য পর্যায়ক্রমে আপলোড করব।’
বাংলাদেশে কবে আসবেন, জানতে চাইলে শাবনূর বলেন, ‘করোনার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাইরে যেতে হলে অনেক আনুষ্ঠানিকতা, অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এই মুহূর্তে তাই যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তারপরই যাব।’
২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাবনূর অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘পাগল মানুষ’। ছবিটি অসমাপ্ত রেখে এর পরিচালক এম এম সরকার মারা গেলে বদিউল আলম বাকি কাজ শেষ করেন।
আরো পড়ুন: