আন্তর্জাতিকসর্বশেষ

বিশ্ববাজারে দাম কমলো খাদ্যপণ্যের

বিশ্ববাজারে দাম কমলো খাদ্যপণ্যের

খানিকটা স্বস্তির খবর এলো গত মাসে কারণ বিশ্ববাজারে দাম কমলো খাদ্যপণ্যের। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল ও সার্বিক খাদ্যপণ্যের দাম। গত মার্চে রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়েছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, গত এপ্রিল মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।তবে যুদ্ধের কারণে এখনো দাম অনেক বেশি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের শঙ্কা জাগায়। রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শস্য উৎপাদনকারী দেশ। গম, উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রধান খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে থাকে দেশ দুটি।

এফএও এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের খাদ্যতালিকার সূচক অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে পণ্যের দাম রেকর্ড বাড়ার পর এপ্রিলে সেটা আগের মাসের চেয়ে ০.৮ শতাংশ কমে গেছে। বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক দাম নিয়ে মাসিক এই সূচক প্রকাশ করা হয়।

এফএওর প্রধান অর্থনীতিবিদ মাক্সিমো তোরেরো কুলেন বলেন, ‘সূচকে কিছুটা মূল্য কমা স্বস্তির, বিশেষ করে খাদ্য ঘাটতিতে থাকা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য। কিন্তু খাবারের দাম এখনো অনেক বেশি রয়েছে, যা বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিকে প্রতিফলন করে এবং সবচেয়ে গরিব ব্যক্তিদের জন্য বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ’

এফএওর সূচকে দাম কমার জন্য কিছুটা ভূমিকা রেখেছে ভোজ্য তেল। এপ্রিলে এই তেলের দাম ৫.৭ শতাংশ কমেছে। যদিও এফএও বলছে, ভোজ্য তেলের দাম এখনো অনেক বেশি। কারণ ইন্দোনেশিয়ার বাইরে অন্য দেশগুলোতে এই তেলের রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক দেশ। ইন্দোনেশিয়া দুই সপ্তাহ আগে পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। তেলের সংকটে খোদ ইন্দোনেশিয়াতেই ভোজ্য তেলের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সূত্র : এএফপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *