ইন্দ্রাণীর কথায়, “ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যখন জানলাম, আমার আর মিসেস সেনের জন্মদিন এক দিনে, একটু গর্ব তো হয়েইছিল। তার পরে যখন পরিচিতি পেলাম, দেখি আমার জন্মদিনও মনে রাখছে টলিউড! শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ফোন করছে। দেখা হলে উপহারও দিচ্ছে। আনন্দের চোটে আমি মেঘমুলুকে।”
সুচিত্রার সঙ্গে জন্মদিন ভাগ করে গর্বিত ইন্দ্রাণী
আমার একেবারে প্রথম দিককার ছবি। অগ্রদূত পরিচালিত ‘অপরাহ্নের আলো’। কুলভূষণ খারবান্দার অল্পবয়সের প্রেমিকা। সেই সময় পরিচালকের তরফ থেকে অনুরোধ এসেছিল, যদি একটু সুচিত্রা সেনের মতো তাকানো বা ঘাড় বাঁকানোর চেষ্টা করি। ওঁর মতো করে আস্তে আস্তে চোখের পাতা তুলি। নতুন একেবারে। তবে সব চেষ্টাই সার। সে দিন বুঝেছিলাম, ৬ এপ্রিল জন্মালে কী হবে! আমি কোনও দিন ‘মহানায়িকা’ হয়ে উঠতেই পারব না। এর পর থেকে তাই সযত্নে অনুসরণের পথ এড়িয়ে চলেছি।
ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যখন জানলাম, আমার আর মিসেস সেনের জন্মদিন এক দিনে, একটু গর্ব তো হয়েইছিল। তার পরে যখন পরিচিতি পেলাম, দেখি আমার জন্মদিনও মনে রাখছে টলিউড! শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ফোন করছে। দেখা হলে উপহারও দিচ্ছে। আনন্দের চোটে আমি মেঘমুলুকে। হাল্কা তৃপ্তিও। যাক, ম্যাডামের ছায়ায় তা হলে পুরোপুরি ঢাকা পড়িনি। সেই রীতি কিন্তু আজও আছে। মঙ্গলবার রাত দুটো পর্যন্ত জেগে। ফোনে শুভেচ্ছার পর শুভেচ্ছা। বাকি রাতটুকু বাদ দিয়ে বুধবার সকাল থেকে ফের সবার ফোন, আশীর্বাদ। তখনই মনে হয়, সামান্য হলেও জন্ম সার্থক। কিছু তো ছাপ রেখে যেতে পারছি!
সুচিত্রা সেনেরও নিশ্চয়ই এ রকমই হত? এবং অবশ্যই এর চার গুণ। হয়তো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতেন। আমি কিন্তু বেশ লজ্জা পেয়ে যাই, যখন এই দিনটা সবাই মিলে সোহাগে-আদরে ভরিয়ে ভালবাসেন। নিজেকে আরও যেন বিশেষ মনে হয়! আজ কাজ আর ছুটির ককটেল। বিকেলে নাচের বিশেষ অনুষ্ঠান আছে। সকাল থেকে তারই মহড়ায় ব্যস্ত। শ্যুটিং থেকে তাই ছুটি নিয়েছি। বিকেলের অনুষ্ঠানের পর একটু হাঁফ ছাড়তে পারব। তখন পুরোটাই আমার সময়। কিছু বন্ধু-বান্ধবী আসবেন। তাঁদের নিয়ে খানা-পিনা, গান-বাজানা। মেয়ে রাজনন্দিনী শ্যুট সেরে আসবে সন্ধেয়। ও-ও থাকবে পার্টিতে। জনার্দন পুরো পার্টির আয়োজক। জন্মদিনে স্বামীর থেকে এর থেকে বড় উপহার আর কী হতে পারে?
নিমন্ত্রণের পাশাপাশি যত্ন করে খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও করেছে জনার্দন। উদযাপনে থাকবে ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক। রাজনন্দিনী ওরফে চিনি শ্যুটের চাপে অনেক দিন ভাল-মন্দ খাওয়া দাওয়া করতে পারছে না। বেচারির বায়না, মায়ের জন্মদিনে বিরিয়ানি খাবেই। ওর কথা মনে করেই বিরিয়ানি, চাঁপ এবং পনীর মশালা, বাটার নান ইত্যাদি থাকবে। আর থাকবে ড্রাই চিলি চিকেন, স্প্রিং রোল, ডিমের ডেভিল। ওহ হ্যাঁ, দুপুরে ভাতের পাতে পায়েসও হয়েছে। ওটা না খেলে আর জন্মদিন কী হল, বলুন?