ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের একটি বাংকারকে নতুন করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ‘জানালাবিহীন’ বাংকারটিকে ছুটি কাটানোর জায়গা হিসেবে সাজানো হচ্ছে, যেখানে পর্যটকরা রাত কাটাতে পারবেন এবং সমুদ্র দেখতে পারবেন। যুক্তরাজ্যের রিংস্টেড, ডরসেটে অবস্থিত দ্বিতীয় গ্রেডের তালিকাভুক্ত বাংকারটি এক সময় রয়াল এয়ারফোর্সের রাডার স্টেশনের অংশ ছিল।
কংক্রিটের তৈরি অবকাঠামোটিকে বাইরে থেকে দেখা প্রায় অসম্ভব। এটিকে দুটি থাকার ঘর হিসেবে রূপান্তরিত করা হবে।
পরিকল্পনা কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান বোইয়েরের প্রতিনিধিরা জানান, এটি একটি ‘অনন্য সুযোগ।’ তারা বাংকারটিকে এমনভাবে সাজাতে চান যাতে মানুষ যুদ্ধের ইতিহাসকে মনে করতে পারেন।
রূপান্তরিত বাংকারের স্থাপত্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে লিপটন প্ল্যান্ট আর্কিটেক্টস (এলপিএ) নামের প্রতিষ্ঠান। বাংকার থেকে সমুদ্র তটের দৃশ্য দেখা ও সেখানে আলো প্রবেশ করার জন্য তারা একটি ‘গ্লেইজড ওপেনিং’ (কংক্রিটের বদ্ধ দেয়ালে কাঁচঘেরা উন্মুক্ত অংশ) তৈরি করবেন।
এলপিএ তাদের বক্তব্যে জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শোষণমূলক, জানালাবিহীন বাংকারটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এর কাজ ছিল জার্মান উড়োজাহাজের ডানায় রেডিও রশ্মির প্রতিফলন ঘটিয়ে দূর থেকে শত্রু বাহিনীর উপস্থিতি সম্পর্কে অগ্রিম সংবাদ পাওয়া।
ডরসেটের কাউন্সিল আবেদনপত্র জমা পড়ার প্রায় এক বছর পর এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ইতোমধ্যে নকশাগুলো একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে।
কাউন্সিলরদের কাছে দেওয়া একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নতুন এই প্রকল্পটি ঐতিহাসিক জায়গাটিকে সুরক্ষিত করবে এবং ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া আয়ের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে।