বিনোদন

ছেলের কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ

গেল বছরটি একেবারেই ভালো যায়নি দেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের। সেই রেশ যেন এখনও রয়ে গেছে এই গায়কের জীবনে। কারণ, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার ছেলে কুমার নিবিড়। এরপর থেকেই সব উলটপালট হয়ে গেছে তার। এখন শুধু ছেলের কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বিশ্বজিৎ।

টরন্টোর সেই দুর্ঘটনায় নিবিড়ের তিন সহপাঠীর মৃত্যু হলেও এক বছর হতে চলল কানাডার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন নিবিড়। আর তার পাশে থেকে সুস্থতা কামনায় দিন পার করছেন বাবা বিশ্বজিৎ।

বলা যায়, থেমেই গেছে বিশ্বজিতের নতুন গানের চর্চা। তবে মাঝে একবার দেশে এসেছিলেন এই গায়ক। তখন ছেলেকে নিয়ে একটি গান গেয়েছেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘নিবিড় অপেক্ষা’। সেই গানটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি।

মূলত সন্তানকে নিয়ে বিশ্বজিতের মানসিক অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গীতিকবি হাসানুজ্জামান মাসুম। ‘বৃষ্টি এখন আর ভালো লাগে না, কান্নার শব্দ মনে হয়/ মেঘলা আকাশ কেমন যেন বেদনার চাদরে ঢেকে রয়/ আমার বুকে কেন বৃষ্টি অঝোরে ঝরে পড়ছে/ তবু সারাক্ষণ আমার হৃদয় মন নিবিড় অপেক্ষা করছে’—এমন কথার গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন কিশোর দাশ।

গানের ব্যাপারে বিশ্বজিৎ বলেন, এটাকে আমি গান বলতে চাই না। এটা একজন পিতার আর্তি। আমি ভাবিনি, নিবিড় ও তার সহপাঠীদের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর আবারও গান গাইব। কারণ, সেই মানসিক শক্তি বা আগ্রহটা মরে গেছে আমার।

এখন শুধু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি, ওর কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায়। নিবিড়ের তিন সহপাঠীর অনুপস্থিতি আমাকে প্রতিনিয়ত পিতৃসমতুল্য বেদনায় আচ্ছন্ন করে।

জানা গেছে, সুরকার কিশোর ও গীতিকার মাসুমের অনুরোধেই মূলত গানটি গেয়েছেন বিশ্বজিৎ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঝে কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম আমি। তখন কিশোর ও মাসুম গানটি করার জন্য অনুরোধ করছিল। কিন্তু আমি ইগনোর করছিলাম।কারণ, গানটা তো প্রাণ দিয়ে করেছি আজীবন। এখন তো আমার ভেতরে সেই প্রাণটা নেই।

এরপরও একটা ডামি বানিয়ে আমাকে শোনায় ওরা। গানটি শোনার পর মনে হলো, কথাগুলো তো আমারই। সুরটাও আমার ভেতরের হাহাকারের মতো। যেগুলো আসলে প্রকাশ করতে পারছি না। তাই পরে রাজি হয়েছি গানটি গাওয়ার জন্য।

প্রসঙ্গত, প্ল্যাটফর্ম এন্টারটেইনমেন্টের পরিবেশনায় ‘নিবিড় অপেক্ষা’ গানটি একযোগে দেশের ১৮টি ব্যানার থেকে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *