২০১৬ সালে জাতীয় ফুটবল দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন পল স্মলি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে তার বিষয়ে অভিযোগ।
বিতর্কের ঝুলি খুলে বসা স্মলি অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বাফুফে থেকে। যদিও সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই তিনি পদত্যাগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন।
স্মলির বাফুফে ক্যারিয়ারে বিতর্কের শেষ নেই। বেশ কয়েকবার তাকে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব নিতে বলা হলেও বেশিরভাগ সময়ই তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন সেই প্রস্তাব। ফুটবল পাড়ায় জোর গুঞ্জন, যেই ম্যাচে বা টুর্নামেন্টে জয়ের বা শিরোপার সম্ভাবনা থাকে কেবল সেই সময়ই কোচের দায়িত্ব নিতে চান তিনি।
পাশাপাশি তার বিষয়ে অভিযোগ ছিল যে ছেলেদের ফুটবলকে এড়িয়ে নারী দলের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততারও। এবং সেই সম্পৃক্ততা ছিল বেশ দৃষ্টিকটূ।
এ ছাড়াও এমনও অভিযোগ রয়েছে তার বিষয়ে যে নানান সময়ই ফিফা এবং এএফসি থেকে বাফুফেকে অর্থ এনে দিতেন স্মলি। সেই জন্য নিজে যেমন কমিশন পেতেন, পকেট ভারী হতো সোহাগসহ আরও অনেকেরই।
অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ ছিলেন নিষিদ্ধ সোহাগের খুব কাছের ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বেশ আস্থাভাজনও।
বাফুফে সভাপতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতেন বলে ক্ষমতার দাপটও দেখাতেন তিনি। সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি বাফুফে থেকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা বেতন পেতেন এ অস্ট্রেলিয়ান। যদিও বাফুফে সভাপতির কাছে তিনি বলেছিলেন, ‘বাফুফেতে কাজ করার পরিবেশ নেই।’
স্মলি বিতর্কিত হয়েছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী করেও। গত সেপ্টেম্বরে নারী সাফে সেমিফাইনাল খেলতে পারবে না বাংলাদেশ এমনটা মন্তব্য করেছিলেন স্মলি। যদিও সেবার সাফের শিরোপা এনে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০১৬ সালে বাফুফের সঙ্গে পথচলা শুরু হয় তার। ২০১৯ সালে চুক্তি শেষ হওয়ার পর সেটি নবায়ন করেনি দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চুক্তি নবায়ন না করায় পল চাকরি নিয়েছিলেন ব্রুনাইয়ে। তবে পরের বছরই (২০২০ সালে) ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের কথা বলে চার বছরের জন্য তাঁকে আবার নিয়ে আসে বাফুফে। চুক্তি অনুযায়ী তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে।