লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: ভ্যাপসা গরম। প্রকৃতির এ পরিবর্তনের সময় শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে সর্দি-কাশি,  জ্বর, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে। এসময় শিশুকে সুস্থ রাখতে বাবা-মায়ের বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

গরমে বড়দের মতো শিশুরাও ঘেমে একাকার হয়ে উঠে। শিশু ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘাম মুছে দিন। নয়তো ঘাম বুকে বসে শিশুর ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। শিশু হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে চুল ও শরীর ভালো করে মুছে ভেজা কাপড় পাল্টে দিন। প্রয়োজনে গোসলও করিয়ে দিতে পারেন।

বৃষ্টি হলে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। গোসলের পর শিশুর শরীর শুকিয়ে গেলে তেল, লোশনের পরিবর্তে পরিমিত পরিমাণে পাউডার লাগিয়ে দিন। অতিরিক্ত পাউডার দিলে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে ঘামাচি হতে পারে। ঘামাচিতে কখনোই নখ লাগাতে নেই।

ঘামাচি খুঁটলে শিশুর ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘামাচি প্রতিরোধে শিশুকে প্রতিদিন দু’বার গোসল করিয়ে দিন। গরমে ছোট শিশুদের চুল ছেঁটে দিতে পারেন। শিশু আরাম পাবে। মেয়ে শিশুর চুল বড় থাকলে পনিটেইল করে বেঁধে রাখুন।

শিশুকে পাতলা, নরম সুতি পোশাক পরিয়ে রাখুন। ডিসপোজেবল ন্যাপির পরিবর্তে সুতি ন্যাপি পরানো ভালো। কেননা ডিসপোজেবল ন্যাপিগুলো ঘাম এবং তাপ শোষণ করতে পারে না বলে ঘামাচি, র্যাশ দেখা দেয়। এসময় ঘন ঘন ন্যাপি পরিবর্তন করুন। স্কুলগামী শিশুর ইউনিফর্ম প্রতিদিন না পারলেও অন্তত একদিন পরপর ধুয়ে দিন।

গরমে শিশুদের বদহজম, ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসময় শিশুর খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। পানিশূন্যতা দূর করতে শিশুকে মৌসুমি ফলমূল, ঘরে বানানো ফলের জুস, শরবতসহ পানি জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে দিন। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুরা মায়ের বুকের দুধপান করে থাকে।

তাই এসময় মাকেও তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে; যাতে শিশু পর্যাপ্ত পানি পায়। দুপুর এবং রাতের খাবারে শিশুর পাতে শাকসবজি, সালাদ, মাছ রাখুন। গরমে শিশুকে বাসি খাবার খাওয়াবেন না। বাইরের কেনা খাবার, ভাজা পোড়া খাবারও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

স্কুলগামী শিশুর স্কুলব্যাগে একটি পানির বোতল দিয়ে দিন। সম্ভব হলে লেবুর শরবত, ফলের জুসও দিন। টিফিনে ভাজা পোড়া খাবারের বদলে সবজি, নুডুলস, ফলমূল, ফ্রুটস কাস্টার্ড, রুটি, হালুয়া স্বাস্থ্যসম্মত হবে। স্কুল ছুটির পর শিশুরা স্কুলের সামনে চটপটি, ফুচকা, আচার খাওয়ার বায়না ধরে। অথচ এসব খাবারে শিশুর ডায়রিয়া, বদহজম, বমি, জণ্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ ধরনের খাবার থেকে শিশুকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।

বৃষ্টির দিনগুলোতে ভেজা ও স্যাঁত-সেঁতে আবহাওয়ার কারণে ফাংগাশ, চুলকানিসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই শিশুকে অবশ্যই ভালোভাবে শুকানো পোশাক পরান এবং শিশুর শরীর শুকনো রাখুন। শিশু যেন নোংরা পানিতে হাঁটাহাঁটি না করে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। নয়তো শিশুর খোসপাঁচড়া হতে পারে।

সূত্র: এই সময়

এমএইচডি/ আইকেজে 

আরো পড়ুন:

ছোটদের চুলের কাট ও সাজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *