Uncategorized

৬ দিনে তৈরি হলো বিশ্বকাপের ভেন্যু

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ১০ বছর আগেও ওমানে কোনো সবুজ ঘাসের ক্রিকেট মাঠ ছিল না। কিন্তু এখন আছে দুটি। দুটিই আল হাজার পর্বতমালাবেষ্টিত আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

মূল মাঠের পাশে আরেকটি মাঠ, যার নাম ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠ। অথচ এক সপ্তাহ আগেও কোনটি একাডেমি মাঠ আর কোনটি মূল মাঠ, সেটি আলাদা করা যেত না! আজ এ মাঠই নাম লেখাবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকায়।

গত এক সপ্তাহে মাঠের চারপাশে ছোট ছোট অস্থায়ী গ্যালারি বসানো হয়েছে। কিছুদিন আগে মাসকাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’ আল আমেরাত অঞ্চল স্পর্শ করলে এ গ্যালারির অস্তিত্বও হয়তো এখন খুঁজে পাওয়া যেত না।

বিশ্বকাপে আইসিসির মিডিয়া কর্মকর্তা ম্যারি গুডবিয়ার কাছে ওমান ক্রিকেটের এত অল্প সময়ে বিশ্বকাপের ভেন্যু তৈরি করে ফেলাটা বেশ বিস্ময়করই।

এটা কীভাবে সম্ভব—প্রশ্নটা যেন নিজেকেই করছিলেন গুডবিয়ার। স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘আমি এখানে এসেছি ছয়-সাত দিন হলো। কিন্তু কীভাবে যেন এই অল্প সময়েই ওরা এসব করে ফেলল! আমি সত্যি বলছি, আমার একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না।

অথচ এসব আমি এখানে আসার পরই করা হয়েছে। আমি যখন এসেছিলাম, তখন এখানে কিছু ছিল না বললেই চলে।’

ওমান ক্রিকেটের প্রধান কার্যালয় ধরা হয় এই আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামকেই। মাঠের এক পাশে ওমান ক্রিকেট একাডেমি ভবনকে ছোটখাটো জাদুঘরের মতো করে সাজানো হয়েছে। ওমান ক্রিকেটের ইতিহাস ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেখানে।

দুটি কক্ষ পার হয়ে এলেই একাডেমির ইনডোর চোখে পড়বে। আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় হওয়ায় ইনডোরে জায়গার অভাব নেই। আইসিসি কাল সে সুযোগটাই নিয়ে সেখানে আয়োজন করে ফেলেছ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন।

ইনডোরের দুই পাশে যেটুকু জায়গা আছে, সেখানে করা হয়েছে ড্রেসিংরুম। এর উল্টো পাশেই প্রেসবক্স। কালও ভাঙাগড়ার কাজ চলছিল সেখানে। অথচ এই মাঠেই আজ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপের রঙে সাজছে মরুর শহর মাসকট

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *