তথ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাজারে এলো উড়ন্ত বাইক || দাম ৬ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: অবশেষে বাজারে এলো হোভারবাইক বা উড়ন্ত বাইক। অবশ্য প্রাথমিকভাবে শুধুই জাপানের আকাশে দেখা মিলবে হোভারবাইকের। এএলআই টেকনোলজিস জানিয়েছে, একবার পূর্ণ চার্জের পর একেকটি হোভারবাইক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ৪৯ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এক আরোহী বহনে সক্ষম ২০০টি হোভারবাইক উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎচালিত একেকটি হোভারবাইকের দাম পড়বে ছয় লাখ ৮০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ছয় কোটি টাকা। মিলবে প্রি-অর্ডারে।

একেকটি উড়ন্ত বাইকের ওজন ৩০০ কেজি। প্রতিটি হোভারবাইকে আছে একটি গতানুগতিক শক্তিশালী ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত চারটি মোটর।

দেশটির একটি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান এএলআই টেকনোলজি উদ্যোগে ঘটল নজিরবিহীন এ ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটির এক্সতুরিসমো লিমিটেড এডিশনের বিক্রি শুরু হয় টোকিওর স্থানীয় সময় গত বুধবার সকাল থেকে।

আপাতত এ মডেলের সীমিতসংখ্যক কয়েকটি হোভারবাইক বিক্রিই লক্ষ্য এএলআই টেকনোলজিসের। সাধারণ মোটরবাইক ব্যবহারকারীদের নিজেদের দুই চাকার যান বদলে উড়ন্ত বাইক ব্যবহারে রাজি করানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

টোকিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রয়েছে বহুজাতিক ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি মিৎসুবিশি ও ফুটবলার কেইসুকে হোন্ডা।

এএলআই টেকনোলজিস জানিয়েছে, একবার পূর্ণ চার্জের পর একেকটি হোভারবাইক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ৪৯ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে।

২০২২ সালের মাঝামাঝি এক আরোহী বহনে সক্ষম ২০০টি হোভারবাইক উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এএলআই টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী দাইসুকে কাতানো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হোভারবাইক শুধু সড়কে চলতে আর আকাশে উড়তেই সক্ষম। চলাফেরায় নতুন কিছু মাত্রা যোগ করার বিষয়েও আমরা আশাবাদী।’

জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাস করে এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এ নগরীতে বড় সমস্যা মানুষের ভিড়। জাপানের ব্যস্ত সড়কের ওপর দিয়ে হোভারবাইক চলাচলে এখনও অনুমতি দেয়নি জাপান সরকার।

তবে আশানুরূপ বাইক বিক্রির পাশাপাশি অনুমোদন পাওয়াসহ বিদ্যমান সব জটিলতা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী হোভারবাইকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা উড়ন্ত বাইক ব্যবহার করবেন বলে মনে করেন কাতানো।

আরো পড়ুন:

৩ বছরের মেয়েকে কোডিং শিখিয়ে সময় কাটান জাকারবার্গ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *