যুক্তরাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার ৯ জন।
তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও লকডাউন বা এ জাতীয় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৯ জন। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বুধবার যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে ব্রিটেনে করোনায় দৈনিক সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই এই সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
দৈনিক সংক্রমণ বাড়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাজ্যে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও। দেশটির স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি। প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৯৫৯ জন।
দেশটির জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, খুব শিগগিরই সংক্রমণ হ্রাস না পেলে শীত পুরোপুরি আসার আগেই ভেঙে পড়বে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।
গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, যখন করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত ধরণ আলফার প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল যুক্তরাজ্যে, সেসময় ইংল্যান্ডে সংক্রমণের এই চিত্র দেখা গিয়েছিল। করোনার ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সে সময় ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ব্রিটেনজুড়ে ৫ মাসের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল দেশটির সরকার।
তবে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ার ফলে গত আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসেবা দফতর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ টেইলর দেশটির সরকার বরাবর কিছু বিধিনিষেধ পুনরায় বহালের আহ্বান জানিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে।
তার উত্তর দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আপাতত বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মাহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২২১ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৬ জন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস