নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রোটারি প্রায়োরিটি কমিউনিটি প্রজেক্টের (বিআরপিসিপি) মাধ্যমে সারাদেশে ৫০০টি মানসম্পন্ন কমফোর্ট সেন্টার নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমফোর্ট সেন্টার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।
বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোটারি বর্ষ-২০২১-২২ শুরুর প্রাক্কালে রোটারি ডিসট্রিক্ট ৩২৮১, বাংলাদেশের বার্ষিক পরিকল্পনা উপস্থাপন এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতি ছিলেন রোটারি বর্ষ ২০২১-২২-এর জন্য মনোনীত ডিসট্রিক্ট গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।
সভায় জানানো হয়, সারাদেশে এক লাখ ৮ হাজারের বেশি প্রাইমারি ও হাইস্কুল রয়েছে, যার বড় অংশই বেসরকারি স্কুল। এছাড়াও রয়েছে মাদরাসা আর ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া বেসরকারি কলেজ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠলেও সেখানে পর্যাপ্ত অবকাঠামাে তৈরি হয়নি। আর্থিকভাবে সক্ষম না থাকায় অধিকাংশ স্কুলেই সুস্বাস্থ্যসম্পন্ন টয়লেট বা প্রক্ষালন কক্ষ নেই।
একাধিক জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, বছরে ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী শুধুমাত্র পরিচ্ছন্ন ও ব্যবহার উপযোগী টয়লেটের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক পরিবর্তনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহার উপযোগী টয়লেট না থাকা। এ সময় স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি কমে যায়। যারা উপস্থিত থাকে, তাদেরকেও শারীরিক অস্বস্তির মধ্যে ক্লাস করতে হয় বলে লেখাপড়ায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে তারা।
এই সমস্যা সমাধানে রোটারি ডিসট্রিক্ট ৩২৮১ বিআরপিসিপি প্রজেক্টের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে সারাদেশে ৫০০টি মানসম্পন্ন কমফোর্ট সেন্টার নির্মাণ করা হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই কমফোর্ট সেন্টারগুরো ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এছাড়াও কমফোর্ট সেন্টারগুলো যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হবে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেসিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।