ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এবারের আসরের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আকাশি নীলরা।
এর আগে ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আবাহনী। সেটাই ছিল তাদের একমাত্র ট্রফি।
শনিবারের (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে দুই ব্রাজিলিয়ানের লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ঢাকার ফুটবল সমর্থকরা। আবাহনীর নেতৃত্বে ছিলেন রাফায়েল অগাস্তো এবং তপুর অবর্তমানে কিংসের অধিনায়কত্ব করেন রবসন রবিনহো। দুই ক্লাবের প্রাণভোমরাও ছিলেন তারাই। তবে শেষ পর্যন্ত জয় হলো রাফায়েলেরই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ঘরোয়া ফুটবলে একক আধিপত্য বসুন্ধরা কিংসের। তবে এবার তাদের সেই আধিপত্যে ছেদ ঘটাল আবাহনী। এর মধ্য দিয়ে তিন বছর পর ঘরোয়া ফুটবলের কোনো শিরোপা ঘরে তুললো তারা।
এছাড়া দল হিসেবে বসুন্ধরাকে তিন বছর পর হারাল আবাহনী। এর আগে ২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে শেষবার হারিয়েছিল আকাশী-নীলরা।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর ম্যাচের ৫৩ তম মিনিটে দলের কান্ডারি রাফায়েল অগাস্তোর দারুণ এক পাস দুর্দান্তভাবে প্রতিপক্ষের জালে পাঠান রাকিব হোসেন। রাকিবের গোলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লিড পায় আবাহনী।
এরপর আবাহনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান গোমেজ। দলের হয়ে তৃতীয় গোলটিও করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
গোমেজের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ৩-০ তে শেষ হয় খেলা। শেষ বাঁশি বাজায় রেফারি। ঘরোয়া ফুটবলের হেভিওয়েট দল বসুন্ধরা এই ম্যাচে বলতে গেলে তেমন ছন্দেই ছিল না।
তবে ম্যাচে বেশ কয়েকবার ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু উল্টো গোল হজম করার মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। রাকিবের পাস থেকে গোমেজ সেবার চান্স মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়ত।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনের প্রথম সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারায় আবাহনী। রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড কলিন্দ্রেসের ম্যাজিকে সেমিফাইনালের বৈতরণী খুব ভালোভাবেই উতরে গিয়েছিল আবাহনী।
আরো পড়ুন:
শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ