প্রচ্ছদ

২৮ হাজার বছর আগের সিংহ

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বরফে আচ্ছাদিত সাইবেরিয়ার আর্কটিক অঞ্চল। সেখানকার বরফস্তূপে ঢাকা একটি সিংহশাবক। দেখে মনে হয়, শাবকটি ঘুমিয়ে আছে, কেউ স্পর্শ করলেই জেগে উঠবে। আসলে শাবকটি মৃত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীটি ২৮ হাজার বছর আগের। কিন্তু এত দিনেও তার শারীরিক অবয়বের কোনো ক্ষতি হয়নি। এমনকি গায়ের লোমও ঝরে পড়েনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবেরিয়ান প্রজাতির এই সিংহের বাস ছিল পাহাড়ের গুহায়। সম্প্রতি রাশিয়ার ফার ইস্ট অঞ্চলে একটি নদীর পারে দুটি সিংহশাবকের মৃতদেহের সন্ধান পান বিলুপ্ত প্রাণী ম্যামথের দেহাবশেষ খোঁজা ব্যক্তিরা। সে দুই সিংহশাবকের একটি এটি। এর ডাকনাম স্পার্টা। দীর্ঘ সময় বরফের নিচে থাকায় এর সোনালি লোমে খানিকটা জটা বেঁধে গেলেও অন্য সবকিছু অক্ষত রয়েছে। শাবকটির দাঁত, ত্বক, সফট টিস্যু ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মমি করে রাখা হয়েছে। ২৮ হাজার বছর আগে শাবকটি মারা গেলেও তার নখগুলো এখনো ধারালো রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

অপর শাবকটির ডাকনাম নাম বরিস। বরফস্তূপের মধ্যে যখন শাবক দুটির মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়, তখন এগুলোর দূরত্ব ছিল ১৮ মিটার। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সিংহশাবক দুটি একই সিংহের পেটে জন্মেছিল। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এ দুই শাবকের বয়সের পার্থক্য ১৫ হাজার বছর। বয়স নির্ধারণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রেডিও কার্বন ডেটিংয়ের তথ্যমতে, বরিস ৪৩ হাজার ৪৪৮ বছর আগে জন্মেছিল।

এই সিংহশাবকগুলোকে নিয়ে করা গবেষণার লেখক ও সুইডেনের স্টকহোমের প্যালিওজেনেটিকস সেন্টারের অধ্যাপক লাভ দালেন বলেছেন, এখন পর্যন্ত বরফযুগের যেসব প্রাণীর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে স্পার্টাকে সবচেয়ে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে বরিসের দেহাবশেষের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

ওই গবেষণা দলে দালেন ছাড়াও রাশিয়া ও জাপানের বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। তাঁদের তথ্যমতে, সিংহশাবক দুটি যখন মারা যায়, তখন এগুলোর বয়স ছিল মাত্র ১ থেকে ২ মাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *