প্রচ্ছদ

২৪ বছরে ২৩ সন্তানের মা !

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছেন জর্জিয়ার বাসিন্দা ক্রিস্টিন আজটেক। ২৪ বছরের এই সুন্দরী বর্তমানে ২৩ সন্তানের মা। তার কোটিপতি স্বামীর সঙ্গে তিনি এতগুলো সন্তানের মাতৃত্ব বরণ করেছেন। এই মুহূর্তে তাই রাশিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে তার মাতৃত্বের খবর সারা দুনিয়ার ভাইরাল খবরে পরিণত হয়েছে৷

ক্রিস্টিনার গর্ভে এখনও অবধি ২ সন্তান জন্মেছে। এছাড়া সারোগেসির মাধ্যমে তাদের ২১ বাচ্চা আরও রয়েছে। ফলে এক ছাদের নিচে তাদের ২৩ টি বাচ্চা একসঙ্গে বড় হচ্ছে।

নিজের ২১ সন্তান সমলানোর জন্য তার ১৬ জন ন্যানি বা আয়া রয়েছেন। এই ২১ সন্তানের জন্য তাদের কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন এই অর্থব্যয় করে তারা সবচেয়ে বেশি খুশি পান।

ডেইলি মেইলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ি, ক্রিস্টিনা আজটেক জর্জিয়ার কোটিপতি গৈলপের স্ত্রী। গতবছর মার্চ থেকে এবছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সারোগেসি করে অর্থাত অন্যের গর্ভে সন্তান জন্ম দিয়ে বাবা -মা হয়েছে এই কোটিপতি দম্পতি। এরজন্য তারা ১৪২.০০০ পাউন্ড অর্থাৎ ১কোটি ৬৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৫৬ টাকা খরচ করছেন।

রাশিয়ার ক্রিস্টিনা বাচ্চদের দেখাশুনো করার জন্য ১৬ জন আয়া রেখেছেন। যারা ২৪ ঘণ্টাই ডিউটি করেন। এর জন্য তাদের ৯৬ হাজার ডলার অর্থাৎ ৭৮ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়।

তবে ক্রিস্টিনা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তার প্রত্যেক সন্তানকে একইরকমভাবে দেখেন। তিনি সবসময়েই বাচ্চাদের সঙ্গে থাকেন। সব মায়েরা যা করেন তিনিও তাই করেন। বাকিদের থেকে তার একটিই পার্থক্য তার বাচ্চার সংখ্যা একটু বেশি। প্রতিটা দিন আলাদা। রোজই তাকে স্টাফদের শিডিউল বানাতে হয়। পরিবারের সব কেনকাটাই তিনি নিজে করেন।

ক্রিস্টিনার বাচ্চাদের মধ্যে মুস্তোফার বয়স ১৯ মাস, মরিয়মের ১৮ মাস, আয়রিনের ১৮ মাস, আলিসার ১৮ মাস, হাসা্নের ১৭ মাস, জুডির ১৭ মাস, হার্পারের ১৬ মাস, তেরেসার ১৬ মাস, হুসেইনের ১৬ মাস এবং আননার ১৫ মাস বয়স। এছাড়া ইসাবেলার বয়স ১৫ মাস, ইসমাইলের ১৪, মেহমেতের ১৪, এহমেতের ১৪, আলির ১৩, ক্রিস্টিনার ১৩, সারা, লোকমান ও গালিপের বয়স ১১ মাস এবং অলিভিয়ার বয়স ৯ মাস। সবচেয়ে ছোট জুডির বয়স ৩ মাস।

ক্রিস্টিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ অ্যাকটিভ। তিনি নিয়মিত সেখানে তার পারিবারিক আপডেট দিয়ে থাকেন। তার প্রোফাইলে লক্ষাধিক ফলোয়ার রয়েছে। তিনি সেখানে বাচ্চাদের খাবার বানাতে ও বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার ছবি পোস্ট করেন।

আরো পড়ুন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের কেক

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *