ব্যক্তিত্ব

২১ ক্যাটাগরিতে ৪১ নারী পেলেন ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) দেশের সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক নারী প্রফেশনালদের ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডের ৬ষ্ঠ সংস্করণে সম্মানিত করেছে।

বিশ্বব্যাপী মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠানটি সত্যিকার অর্থেই সবাইকে উজ্জীবিত করেছে।

এ বছর প্রশংসিত অ্যাওয়ার্ডটির ৬ষ্ঠ সংস্করণে মোট ২৪ জন বিজয়ী এবং ১৮ জন অনারেবল মেনশন ক্যাটাগরিতে জয়ী হয়েছেন।

গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলের ইকেবানা হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড (ডব্লিউআইএল)-এর প্রধান সম্মাননা, যা বিভিন্ন সীমানায় অসামান্য অবদানের জন্য অগ্রণী নারীদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ৬ষ্ঠ ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের আগামীর নেতা ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারী পেশাজীবীদের জন্য পরিবর্তন বয়ে আনবে।

অনুষ্ঠানে নাজিয়া আন্দালিব প্রীমা, প্রেসিডেন্ট, উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) বলেন, ‘এই পুরস্কার নারীকে নেতৃত্বের লড়াইয়ে সাহায্য করবে- পেশাগত জগতের ভেতরে এবং বাইরে।’

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একজন নারীর যাত্রা যতই বোঝার চেষ্টা করি এটা বোঝা সত্যিই কঠিন, বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে নারীর অংশগ্রহণ এখনও আমাদের অব্যবহৃত সম্পদগুলোর একটি।’

এ বছর, ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডটি সারা দেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মনোনয়ন পেয়েছে। ২১টি বিভাগের অধীনে ১২৫ এরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৩৫০+ মনোনয়ন জমা পড়ে। বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বনামধন্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তিনটি জুরি প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে এবং তাদের দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করে – অনারেবল মেনশন এবং বিজয়ী।

অ্যাওয়ার্ডটির কঠোর জুরি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করার সময়, জুরি প্যানেলের একজন বিশিষ্ট বিচারক গ্রো এন এক্সেল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান পরামর্শদাতা এম জুলফিকার হোসেন বলেছেন, ‘আমরা কঠোর পর্যালোচনা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করেছি। এন্ট্রি লেভেলে আমরা এখনও দেখছি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের কম উপস্থিতি, যদিও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার প্রতিভা আমাদের সবারই আছে।’

গত ৫ বছর ধরে, ‘উইল’ নারী প্রফেশনালদের তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে আসছে। ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডটির প্রথম অভিষেক হয় ২০১৪ সালে এবং তারপর থেকে ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডের অন্তর্নিহিত বার্তা হল দেশের প্রবৃদ্ধিতে নারীদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া; নারী প্রফেশনালদের ক্ষমতায়ন এবং সমাজে রোল মডেল তৈরি করা (ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক উভয় স্তরে)।

৬ষ্ঠ ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড; উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) এর একটি উদ্যোগ। জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিনের সহযোগিতায় আয়োজিত। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ) এবং কালারস এফএম ১০১.৬, টেকনোলোজি পার্টনার- আমরা, পিআর পার্টনার- ব্যাকপেইজ পিআর, এবং ওয়েব সল্যুশন পার্টনার- এক্সসেন্ট্রা। কনসেপ্ট বাই প্রীমা আর্টে ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

আরো পড়ুন:

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের ফাইরুজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *