প্রচ্ছদ

২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ কমেছে, অভিবাসী মানুষ বেড়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ আদমশুমারিতে ডেমোক্রেটদের জয়জয়কার। কারণ, অধিকাংশ মেট্রোপলিটন সিটি ও প্রত্যন্ত এলাকাতেই শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা কমেছে। অভিবাসী সমাজের বসতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের সেনসাস রিপোর্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশের পর এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানের সিংহভাগই রিপাবলিকান সমর্থক। এই প্রথম শ্বেতাঙ্গ (হিসপ্যানিক নন) এমন মানুষের সংখ্যা অন্য সকল জাতিগোষ্ঠির চেয়ে কমেছে। ল্যাটিনোদের সংখ্যা আশাব্যঞ্জকভাবে বেড়েছে। আদমশুমারির তথ্যের বাইরেও আমেরিকার রাজনৈতিক ধারাবিবরণীতেও প্রায় দু’ভাগে বিভক্ত হবার চিহ্ন রয়েছে। বারাক ওবামার রানিংমেট হিসেবে জো বাইডেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের চেয়ে যে পরিমাণের ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন, একই পরিমাণের ভোট পেয়ে গত নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ইলেক্টরাল কলেজের ভোটেও বেশি ব্যবধান ঘটাতে সক্ষম হননি জো বাইডেন। তেমন একটি পরিস্থিতির অবসানে জনসংখ্যাগত বৃদ্ধি-হ্রাসের সুফল সামনের নির্বাচনে ডেমক্র্যাটরা পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, হিসপ্যানিক এবং এশিয়ানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে শ্বেতাঙ্গদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। গত দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ। এবারই প্রথম শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের সংখ্যা হ্রাস পেলো।১৯৬০ সালের পর আর কখনো এমনটি দেখা যায়নি।

২০১০ সালের আদশুমারিতে মোট জনসংখ্যার ৬৬% ছিল শ্বেতাঙ্গ। তারও ১০ বছর আগে ছিল ৬৯%। সর্বশেষ এই আদমশুমারিতে কমে ৫৮% হয়েছে। অর্থাৎ ২০ বছরের ব্যবধানে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানের সংখ্যা কমেছে ১১%।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এক বিশেষ ক্ষমতায় অবৈধ অভিবাসীদেরকে বৈধতার সুযোগ দেন। ২০০৮ সালে বিদায় নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আরেক ঘোষণায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর যারা নানাবিধ ক্যাটাগরিতে গ্রীনকার্ড পাননি, তাদেরকে অভিবাসনের মর্যাদা দেয়ার বিশেষ এক বিধি চালু করে যান। এর আগে ও পরে ডেমোক্রেটরা হোয়াইট হাউজ এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকলেও অবৈধ অভিবাসীদের জন্যে সামগ্রিক অর্থে কোনো পদক্ষেপই নেননি। তা সত্তে্বও নবাগত এবং অভিবাসী সমাজের পুরনো প্রায় সকলেই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি অনুরক্ত। ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির সময়েও ৯০% জনের বেশি নিজেকে ডেমোক্রেট হিসেবে পরিচিত করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *