শিক্ষা ও সাহিত্য

১ এপ্রিল সারাদেশে এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা শুরু

ধূমকেতু রিপোর্ট : সারাদেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
২ হাজার ৫শ’ ৮০ টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধের পাশাপশি নকল বন্ধে এবারও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এবছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩ শ’ ৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন।

এ বছর সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’৫০জন। অপরদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ২শ’ ৬৫ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রয়েছে ৭৮ হাজার ৪শ’ ৫১ জন পরীক্ষার্থী।

এছাড়াও এবছর উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার কারণে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যস্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা ও তদারক কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবারও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাগজের খামের বদলে অধিকতর নিরাপত্তাবিশিষ্ট অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণে তদারক কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ভেন্যু কেন্দ্রের জন্য প্রশ্নপত্রের আলাদা প্যাকেট ও ট্রাংক তৈরি করা হয়েছে-যা ট্রেজারি থেকে সরাসরি ভেন্যুতে পাঠানো হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ডা.দীপু মনি বলেন,পরীক্ষা কেন্দ্রের, কেন্দ্র কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া অন্যকেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রোনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এই আদেশ ভঙ্গ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,পরীক্ষার্থীদের আগের মতোই ৩০ মিনিট আগে আবশ্যিকভাবে কেন্দ্রের আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে আসতে দেরি হলে রেজিস্ট্রারে তার নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং সেটি প্রতিদিন কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন।

গত পরীক্ষার মতো এবারও প্রশ্নপত্রের কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষা শুরুর মাত্র ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগের প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *