ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: নামিবিয়া শেষবার বিশ্বকাপ খেলেছিল ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। বর্তমান অধিনায়ক গেরহাড ইরাসমাস তখন ৭ বছরের শিশু। ১৮ বছর পর ফের বিশ্বকাপ মঞ্চে খেলার সুযোগ পেল নামিবিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ আবুধাবি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে ইরাসমাসের দল।
সুপার টুয়েলভে উঠতে গ্রুপ ‘এ’তে চার দলের মধ্যে পরিষ্কার ফেভারিট শ্রীলঙ্কা। বাকি দুই দলের আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে নিয়মিত। তাই সে হিসেবে শক্তিমত্তায় তাদের থেকে বেশ পিছিয়ে নামিবিয়া। তবে আগের সাফল্যকে পেছনে ফেলে রূপকথার গল্প লিখতে চায় আফ্রিকান দলটি। সে যাত্রায় অধিনায়ক ইরাসমাসের পাশাপাশি প্রত্যাশার চাপ থাকবে ডেভিড ভিজের। একসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে নিয়মিত খেলা এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করবে নামিবিয়ার।
ভিজেকে নিয়ে ইরাসমাস বলেন, ‘ব্যাট-বলের দক্ষতাই শুধু নয়, বিশ্ব জুড়ে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা দলে যোগ করবে সে। ড্রেসিংরুমে সে ভালোভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে।
বর্তমান শ্রীলঙ্কা দল হিসেবে তরুণ। গত কয়েক বছরে ক্রিকেট দেখলে অধঃপতন ছাড়া কিছুই চোখে পড়বে না দলটির। নইলে কেনই বা খেলবে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে। তবে তরুণদের হাত ধরেই নতুন করে জ্বলে উঠতে চায় ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। দাসুন শানাকার নেতৃত্বে গঠিত দলটির পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত থাকছেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার কারণে নিরোশান ডিকভেলা, কুশল মেন্ডিস ও দানুশকা গুনাথিলাকা না থাকায় দল হিসেবে অনেকটা অনভিজ্ঞই লঙ্কানরা। তবে দীনেশ চান্দিমাল ও কুশল পেরেরা প্রত্যাবর্তন অধিনায়ক শানাকার কাজ সহজ করে দিয়েছে।
বিশ্বকাপের লঙ্কানদের তুরুপের তাস ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। বল হাতে গুগলি ভেলকিতে যেমন মুগ্ধ করেন তেমিন ব্যাটিংয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দেন এই অলরাউন্ডার।
আরো পড়ুন: