ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: অবসরের বয়স ৬০ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের গ্রাস করে মৃত্যুচিন্তা। ভাবতে শুরু করি, এই বুঝি যাওয়ার সময় এসে গেল! আর কাজে লাগব না বলেই কর্মক্ষেত্রে বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার বোধ হয় সব কাজই ফুরানোর সময় হয়ে গেল! না। এতটা হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। চাইলে আমি, আপনি কম করেও বাঁচতে পারি ১৩০ বছর। এমনকি তা টেনে নিয়ে যাওয়া যায় ১৫০ বছরেও।
কে-ই বা ‘মরিতে চায় এই সুন্দর ভুবনে’? তাই সবার জন্যই এ ধূমকেতুটি দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। বুধবার গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে রয়াল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে। গবেষকরা এও দেখেছেন, মানুষের আয়ুর কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই আক্ষরিক অর্থে। গবেষণাটি চালিয়েছেন লসনে সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ইপিএফএল) বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা স্বীকার করেছেন, পরিবেশ দূষণের ফলে আগের চেয়ে মানবজীবনের ঝুঁকি বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের আয়ুষ্কালের সত্যি সত্যিই তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি; যদি আমরা জীবনকে মোটামুটি সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর পর থেকেই।
গবেষকরা ১৩টি দেশের ১০৫ ও ১১০ বছরেরও বেশি বয়সী এক হাজারেরও অধিক পুরুষ, নারীসহ নানা বয়সের গত ৬০ বছরের আয়ুষ্কালসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন। গবেষণাপত্রে দুটি ঘটনার উল্লেখও করা হয়েছে। প্রথমটি এখন পর্যন্ত মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন যিনি বেঁচে ছিলেন, সেই ফরাসি নারী জেন কামেন্তঁ। ১৯৯৭ সালে যিনি প্রয়াত হন ১২২ বছর বয়সে। দ্বিতীয় ঘটনাটির চরিত্র জাপানের কানে তানাকা, যিনি এখন ১১৮ বছর বয়সেও দিব্যি তরতাজাই রয়েছেন।
আরো পড়ুন: