ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: পদ্মা সেতুর সড়কপথের কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এরপর চাইলে হেঁটেই পার হওয়া যাবে স্বপ্নের এই সেতু। রেলের কাজও এগিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে মাটি থেকে সেতুর সঙ্গে রেলপথের সংযোগ তৈরির কাজ। তখন রেলপথ ধরেও হেঁটে পার হওয়া যাবে সেতুটি।
১ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্বিক কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় সেতু বিভাগ আশা করছে, সব কাজ ঠিকমতো এগোলে আগামী বছরের জুনে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালু করা যাবে। একই দিন ট্রেন চালুরও লক্ষ্য আছে।
অবশ্য ট্রেন চালুর বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, নকশা জটিলতায় সেতুর বাইরে উড়ালপথের (ভায়াডাক্ট) একটি পিলার ভাঙতে হচ্ছে। এ কারণে সেতুর সঙ্গে সংযোগ তৈরির কাজ পিছিয়ে গেছে। সেতুর অংশের বাইরেও রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়নি।
গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর সর্বশেষ বা ৪১তম স্টিলের স্প্যান জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে মূল সেতু দাঁড়িয়ে যায়। এতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরার সরাসরি সংযোগ তৈরি হয়। দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর ভেতর দিয়ে চলবে রেল। এখন সেতু পারাপারের জন্য কংক্রিটের স্ল্যাব জোড়া দিয়ে রেল ও সড়কপথ তৈরি হচ্ছে। ১ জুন পর্যন্ত যানবাহন ও রেলপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ যথাক্রমে ৮৯ শতাংশ এবং ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জুন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম গত রোববার বলেন, বৃষ্টি-বন্যায় বড় কোনো সমস্যা না হলে সড়ক ও রেলপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ সেপ্টেম্বরেই শেষ হবে। এরপর চাইলে হেঁটেই সেতু পার হওয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি এবং গত বছরের নদীভাঙনে কিছু সমস্যা হয়েছিল। এখন তা কাটিয়ে ওঠা গেছে। আগামী জুনেই পদ্মা সেতু চালু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তবে সেতু হেঁটে পার হওয়ার উপযোগী হওয়া মানে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে তা না। কারণ তখনো অনেক কাজ চলমান থাকবে।