বিনোদন

১০ হাজার কোটি টাকার মালিক ফ্যাশন আইকন কিম

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ২০২১-এর ডিসেম্বরে দাঁড়িয়ে কিম কার্ডাশিয়ানের মোট সম্পদের পরিমাণ কত? সঠিক উত্তরটা হলো, ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এই অঙ্কটা আবার কত বড়? ১০ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সমান! এই অর্থের বেশির ভাগ এসেছে ‘ফ্যাশন ও স্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার’ থেকে। তবে সব ছাপিয়ে আবেদনময়ী হিসেবে তিনি জগৎখ্যাত।

২০১৭ সাল থেকে বাজারে চলছে তাঁর বিউটি ব্র্যান্ড ‘কেকেডব্লিউ বিউটি’ ও ‘কেকেডব্লিউ ফ্রাগ্রান্স’। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে স্কিমস (সলিউশন ফর এভরি বডি)। দুই বছরের মধ্যে জনপ্রিয় এ ব্র্যান্ডের মূল্য এখন সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার বেশি। ইতালীয় লাক্সারি লেবেল ফেন্দিরও অংশীদার তিনি।

কিম কার্ডাশিয়ান কেন এত বিখ্যাত? ‘ইয়াহু’, ‘পেইজ সিক্স’, ‘ডেইলি মেইল’ প্রভৃতি পশ্চিমা গণমাধ্যম প্রশ্নটার এমন একটা জবাব বের করেছে, যাকে ব্যাখ্যা করতে গেলে আবার একটা বাংলা বাগধারার সাহায্য নিতে হয়, ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’। পশ্চিমা গণমাধ্যমের মতে, ‘কার্ডাশিয়ান বিখ্যাত হওয়ার কারণেই বিখ্যাত।’

ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৬ কোটি ৭০ লাখ। সে যা-ই হোক, যে কারণে কার্ডাশিয়ানকে নিয়ে এত কথা, সেটা হলো এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, মডেল ও ব্যবসায়ী সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেতে চলেছেন। ৭ ডিসেম্বর রাতে ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর মঞ্চে ‘ফ্যাশন আইকন অ্যাওয়ার্ড’ উঠবে তাঁর হাতে। এনসিবি আর ই! নিশ্চিত করেছে এই খবর।

৪১ বছর বয়সী, চার সন্তানের মা এই ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সারকে এই পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘কিমের ফ্যাশনবোধ খুবই অভিনব। সব সময় তিনি নতুন কোনো চমক দিতে আগ্রহী। হয় সেটা সফল হয়, নতুবা ব্যর্থ হয়ে তীব্র সমালোচনা, ট্রল, মিমকে সঙ্গী করে আলোচনায় থেকে আরও বেশি করে সফল হয়। একা হাতে নিজস্ব ভাবনা, ডিজাইন আর ট্রেন্ড সেটিং স্টাইল দিয়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে দাপটের সঙ্গে প্রভাবিত করেছেন তিনি।’

২০০৭ সালে ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কার্ডাশিয়ানস’ দিয়ে প্রথম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন কিম। আর ২০২১-এ যখন চূড়ান্ত পর্ব প্রচার হলো, তত দিনে এই কার্ডাশিয়ান বিউটি মোগল হিসেবে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসার সাম্রাজ্য গড়েছেন।

কিম যখনই রেড কার্পেটে থেমে পোজ দিয়েছেন, সেটা একটা ‘ফ্যাশন মোমেন্ট’ হয়েছে। তাঁকে প্রায়ই ব্যালেনসিয়াগা, ভারসাচি আর মুগলারের পোশাকে দেখা গেছে। আর বাস্তবতা এমনই যে, সেটি এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে প্রতিষ্ঠা পেতে আরও সহজ করেছে। ই! নিউজের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জেন নিল বলেন, ‘কিম এই পুরস্কারের যোগ্য। কেননা, তিনি তাঁর ফ্যাশনকে আন্তর্জাতিকভাবে ফ্যাশন ট্রেন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। দশকের পর দশক ধরে তিনি ফ্যাশন সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করছেন।’

দ্য সোশ্যাল স্টার অব ২০২১ ক্যাটাগরিতেও মনোনীত হয়েছেন কিম। সেখানে তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন অ্যাডিসন রে, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, ডোয়াইন জনসন, জাস্টিন বিবার, কাইলি জেনার, লি নাজ এক্স ও চার্লি ডেমেলিও।

এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন মাত্র তিনজন ফ্যাশন আইকন। ট্রেসি ইলিস রস, গোয়েন রেন স্টেফানি ও ভিক্টোরিয়া বেকহাম।

আরো পড়ুন:

মধুচন্দ্রিমায় মালদ্বীপে যাচ্ছেন ভিকি-ক্যাটরিনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *