নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পর, বাংলাদেশের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা তৈরি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও রপ্তানি খাতে চাহিদা তৈরি হবে নতুন পণ্যের। অর্থনীতির আকারও বড় হবে। সরকারের নেওয়া নানা অবকাঠামো প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। তখন পণ্য পরিবহন, বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব কিছু বিবেচনা করে আগামী দশকে অর্থনীতির চাহিদার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই এর ১০ বছর মেয়াদী মাস্টারপ্ল্যান
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি জনাব মো. জসিম উদ্দিন।
এসময় তিনি জানিয়েছেন, এলডিসি পরবর্তী পরিবর্তিত বৈশ্বিক চাহিদা মোকাবিলায় খাতভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত ধারণাপত্রটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এ দিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে এফবিসিসিআই এর সঙ্গে কাজ করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান এ কার্যক্রম শেষ হলে, দেশের বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পুণ:প্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্যের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলেন সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের ২য় ও ৩য় প্রজন্ম দেশদুটির মূল অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে ঐসব প্রবাসী উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পারলে, দেশদুটির মূল বাজার ধরা সহজ হবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মূল ধারার বাণিজ্য সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই।
আরো পড়ুন: