নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: হাতির করিডোর (চলাচলের পথ) সংরক্ষণের পাশাপাশি হাতি হত্যা বন্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি এন এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোট বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়েরকৃত একটি রিট মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদেশের পাশাপাশি জারি করা রুলে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া রুলে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
রিট পরিচালনা করেন ব্যরিস্টার খান খালিদ আদনান। রিটের বাদী ছিলেন বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিন (রিক্তা) ও খান ফাতিম হাসান। রিটের সদস্য ছিলেন আমিনুল মিঠু।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান জানান, হাতি নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ১২টি করিডোর সংরক্ষণ করার নির্দেশ চেয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য দাখিল করা হয়েছিল। ওই বেঞ্চের কার্যতালিকা অনুসারে আজ রিটের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ রুল জারি করেছেন। রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষকসহ ২০ জনকে বিবাদী করা হয়। এই আদেশে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাতি হত্যা নিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত।
আরো পড়ুন: