ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও নাশকতার মামলায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেছেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা তার জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি অ্যাক্ট) আইনে দায়ের করা মামলা ও ময়মনসিংহে নাশকতার একটি মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে নাশকতার মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে আগস্ট মাসে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুলকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রফিকুলের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামে। রফিকুলের বয়স ২৫ বছর হলেও আকার-আকৃতির জন্য তাকে ‘শিশুবক্তা’ বলে ডাকেন তার ভক্তরা।
পরে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৮ এপ্রিল র্যাব বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই দিন মতিঝিল থানায়ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
গত ২১ এপ্রিল ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসন থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ শনিবার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে পুলিশ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়। রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।