নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আগামী বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে এবং বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেলে, ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন করেছেন তারা ক্রমানুসারে ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যেতে পারবেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তি জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে, নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনের মাধ্যমে তা উত্তোলন করতে পারবেন।’
তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪৫৭ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৭৫৭ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে টাকা ফেরত নিয়েছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।
এ ছাড়া, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালে ৬১ হাজার ১৪২ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭১৯ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে টাকা ফেরত নিয়েছেন। বর্তমানে ৫৩ হাজার ৪২৩ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।
ফরিদুল হক খান আরও জানান, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু ছিল। এরপর আর কোনো নিবন্ধন করা হয়নি। তবে, হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন।
নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে ২০২২ সালে হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা নবায়নের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্যাংক, হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বহির্বিশ্ব থেকে কোনো হজযাত্রী এ দুই বছর সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাননি।