কঠোর লকডাউন শিথিল করায় টানা ১৪ দিন পর সড়ক-মহাসড়কগুলোতে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহণ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলছে শপিংমল ও মার্কেট।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পরামর্শ দিলেও ‘ঈদ উদযাপন ও দরিদ্র মানুষের রোজগারের স্বার্থে’ তা শিথিল করেছে সরকার।
তবে ২৩ জুলাই ভোর থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হবে। তাতে জরুরি সেবা বাদে শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আজ থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহণ চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খোলা থাকবে শপিংমল ও মার্কেট।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক পত্রের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন: বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।
করোনা মহামারি রোধে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই সময়ে গণপরিবহণ, অফিস, শপিংমল বন্ধ রাখা হয়। ঈদের সপ্তাহে সারাদেশে কুরবানির পশুর হাট বসানোরও অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে ২১ জুলাই ঈদ শেষে আবার ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়ে চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব মোতায়েন থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহণ, অফিস, শপিংমল, কলকারখানা।