স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার কাঠামো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মূলত দুই ভাগে বিভক্ত-স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্বাহী ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে একটি হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরের প্রধান কাজ দেশের সর্বস্তরে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, কর্মপরিকল্পনা এবং প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন নীতি কার্যকর করা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়কে স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা প্রণয়নে কারিগরী সহযোগিতাও প্রদান করে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট হলো ‘ www.dghs.gov.bd ’। এই সাইটে প্রবেশ করলে অধিদফতরের মাধ্যমে সম্পাদিত দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, স্বাধীনতাপূর্ব ১৯৫৮ সনে স্বাস্থ্য পরিদপ্তর নামে স্থাপিত হয়। ১৯৮০ সনে এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উন্নীত হয়। মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে দুই জন অতিরিক্ত মহা পরিচালক সহায়তা প্রদান করেন। এ ছাড়া লাইনডাইরেক্টর (বিষয়ভিত্তিক পরিচালক),পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক,চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ কর্মরত আছেন। সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ে পরিচালকগণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।

সব মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সেই মেডিকেলের একাডেমিক কার্য সম্পাদন করেন। প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জন এবং উপজেলাসমূহে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই ওয়েব সাইটটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা কর্তৃক তৈরি এবং পরিচালিত হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হলেন জাহিদ মালেক, এমপি। আর মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক হলেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, পরিচালক (এমবিডিসি) অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, পরিচালক (পরিচালক ও গেবেষণা) ডা. আফরিনা মাহমুদ, পরিচালক (পিএইচসি ও আইটিএইচসি) ডা. তাহমিনা সুলতানা, পরিচালক (সিএমএসডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক (ফিন্যান্স) ডা. এসকে মো. মনজুর রহমান, পরিচালক (ডেন্টাল) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বেপারী, পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবিব, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মো. হাসান ইমাম, পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মনজুর রহমান এবং পরিচালক (এইডস/এসটিডি) ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মিয়া।

স্বাস্থ্য অধিদফতর:

সাইটে প্রবেশ করে বাম পার্শ্বে তাকালেই যেসব বিষয় দেখা যাবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে –কোভিড ১৯ গাইডলাইনসমূহ, এডভান্স এনালিটিক্স, কো-অর্ডিনেন্স ও সাপোর্ট সেন্টার, যোগাযোগ তথ্য, গাইনি কনসালটেন্টগণের তালিকা, হেলথ মিডিয়া মনিটরিং, স্বাস্থ্য কর্মসূচী রোহিঙ্গা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন, প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ তথ্য, বদলি ও পদায়ন আদেশ, স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কোড নং, আরো অনেক বিষয়।

অধিদপ্তরের কাজের ধরন:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থার জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ ও একই বা ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইজসমূহের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা  নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি খসড়া গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।  এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যেমন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থা ও কর্মসূচিসমূহ; অন্যান্য মন্ত্রণালয়ভূক্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠা্নসমূহ, বেসরকারি সংস্থাসমূহ ও উন্নয়ন-সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে। এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম) শাখাটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন প্রফেসর ডাঃ মিজানুর রহমান।

মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, এসএমএস’র মাধ্যমে অভিযোগ ও পরামর্শ জানানোর ব্যবস্থা, এসএমএস’র মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অফিস উপস্থিতি তদারকি, মানবসম্পদ ডাটাবেজ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী তদারকি সফটওয়্যার, স্বাস্থ্যসেবায় জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, বাংলাদেশের ই-স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত মানদণ্ডসমূহ, তথ্য ব্যবস্থাসমূহের মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ কাঠামোর খসড়া।

স্বাস্থ্য কর্মসূচী ও অগ্রগতি :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ধূমকেতু ডটকমকে জানান, অধিদফতরের ওয়েবসাইটের এই অপশনে পাওয়া যাবে ডিপার্টমেন্টাল লিংকসমূহ এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, চিকিৎসা জীবপ্রযুক্তি, অটিজম, হেলথ অবজারভেটরী ও ফটো গ্যালারী ডাটা, এনটিপি, এপিআই। যোগাযোগ অপশনে চাপ দিলে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন সকল প্রোগ্রাম ম্যানেজার, সহকারি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস, জেলা/সাধারণ হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জন অফিস এবং সকল উপজেসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর।

করোনা মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নিজেদের অধীনস্থ বিভিন্ন অধিদফতর ও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে নতুনত্ব এনেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্ব স্ব অধিদফতর ও  প্রতিষ্ঠানের ওয়েভসাইটে প্রবেশ করলেই দেশের করোনা পরিস্থিতি, করোনা টিকা, করোনায় আক্রান্ত হলে কোথায়, কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, চিকিৎসকদের তালিকা, করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন গাইডলাইন, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নাম ও যোগাযোগের মোবাইল/ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য সহজেই বের করা সম্ভব হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩):

স্বাস্থ্য বাতায়ন হলো বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত মোবাইলে প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবা। এই স্বাস্থ্য বাতায়ন হেলপ লাইন ১৬২৬৩ কলে করে আপনি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এই হেলপ লাইন দিনরাত আপনার সেবায় নিয়োজিত। এছাড়া স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে আপনি সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তারের তথ্য বা স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক অন্যান্য যেকোনও তথ্য এবং ফোন নম্বর পেতে পারেন। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং হাসপাতাল বিষয়ক আপনার কোনও অভিযোগ কিংবা পরামর্শ থাকলেও এই নম্বরে জানাতে পারেন। সেই অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে। এই সেবা পেতে আপনার মোবাইল থেকে ডায়াল করুন এই নম্বরে ১৬২৬৩। তারপর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য সরাসরি ডাক্তারের সাথে কথা বলতে ০(শূন্য) চাপুন। নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তারের তথ্য কিংবা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে ১ (এক) চাপুন। সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে কোনও অভিযোগ জানাতে ২ (দুই) চাপুন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বাতায়ন সেবাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ৩ (তিন) চাপুন। আর স্বাস্থ্য বাতায়ন সেবা সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ কিংবা পরামর্শ জানাতে ৪ চাপুন।

টেলিমেডিসিন সেবা:

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮টি হাসপাতালে উন্নত মানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। শীঘ্রই যুক্ত হচ্ছে আরও ১০টি হাসপাতাল। এই সেবা চালুর ফলে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আধুনিক মানের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে। ফলে নিম্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন সেবা :

ইতিমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত মিনি ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা  হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ল্যাপটপ সরবরাহ করা হয়েছে। ল্যাপটপে তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে। টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানের কাজে ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। যেসব রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হবে, সেসব রোগীর জন্য ভিডিও কনফারেন্স চালু করে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এর ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকের অভাব পূরণ করা হচ্ছে।

ল্যাপটপগুলো গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য শিক্ষার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে। মাঝে মাঝে কিছু সংক্রামক ব্যাধি প্রাণ সংহারী মহামারী হিসেবে দেখা দেয়। তখন জনগণকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরী সচেতনতামূলক তথ্য প্রদান করা অতি আবশ্যক হয়ে পড়ে। পাওয়ার পয়েন্ট, বক্তব্য, ভিডিও ক্লিপ এ ধরনের স্বাস্থ্য শিক্ষামূলক মেসেজ তৈরি করে তখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিতরণ করা যাবে এবং জনগণের সামনে প্রদর্শন করা যাবে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, নিরাপদ পানি, সেনিটেশন, পুষ্টি ইত্যাদি সকল বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন তথ্যও সহজেই বিতরণ হবে এই চ্যানেলে। গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ভান্ডারও আপডেট করা হবে এই ল্যাপটপগুলো দিয়ে।

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন সেবা :

দেশের ২২টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রেও টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হচ্ছে স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগে বসে চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে প্রতি কর্ম দিবসে এই সেবা দিচ্ছেন।

মাঠকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টিবিষয়ক ইটুলকিট:

নিয়োগ দেয়ার পর মাঠকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপতর। প্রশিক্ষণ প্রদানের পর তাদের তুলে দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নির্দেশিকা। এই ইটুলকিটে পাওয়া যাবে নির্দেশিকাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর পূর্ণাঙ্গ ধারণা। স্বাস্থ্যবিষয়ক ইটুলকিটে পাওয়া যাবে সাধারণ স্বাস্থ্য, মা ও শিশু বিষয়ক স্বাস্থ্য, যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ, করোনা ভাইরাস, সংক্রামক রোগ, অসংক্রামক রোগ, কিশোর কিশোরীর স্বাস্থ্য এবং পানি ও পয়:নিষ্কাশন বিষয়ক নানা তথ্য।

পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক ইটুলকিটে রয়েছে সার্বিক পরিবার পরিকল্পনা, স্বল্পমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণে পুরুষের অংশগ্রহণ বিষয়ক নানা তথ্য।

পুষ্টিবিষয়ক ইটুলকিটে রয়েছে পুষ্টি নির্দেশিকা, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের যত্ন ও পুষ্টি, নবজাতক  ও শিশুর খাদ্য, শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর ওজন/বুদ্ধি পরিবীক্ষণ ও উন্নয়ন, কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি, অনুপুষ্টি এবং বয়স্কদের পুষ্টি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়:

www.mohfw.gov.bd সাইটে প্রবেশ করলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদফতর ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। প্রতিটি অধিদফর ও প্রতিষ্ঠানেই করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে নানা নির্দেশনা ও সহযোগিতামূলক তথ্য পাওয়া যাবে। আরও পাওয়া যাবে কর্মকর্তাদের নাম ও যোগাযোগ নম্বর। সাইটে প্রবেশ করে বাম পার্শ্বে থাকা ‘কর্মকর্তাদের যোগাযোগ তথ্য’ অপশনে চাপ দিলেই বেরিয়ে আসবে মন্ত্রণালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ  অধিদফতর ‘স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ’ ও ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ’ এর যাবতীয় তথ্য।

আরো পড়ুন:

যেখানে পাওয়া যাবে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *