নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এত ভীড়ে যাত্রীরা মানতে পারছে না স্বাস্থ্যবিধি।
আজ শনিবার (৮ মে) সকাল ৬টা থেকে ঘাটে ফেরিসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, “এই রুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। ছোট যানবাহন ও ঘুরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ফেরিসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।”
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে বুয়েট ’৮৯ ক্লাব লিঃ
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ফেরিতে করে বাড়ি যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। শুক্রবার (৭ মে) সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তবে করোনা মহামারী পরিস্থিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ে ফেরিতে যানবাহন উঠার সুযোগই পাচ্ছে না। এতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় পুলিশ। গাদাগাদি করে মানুষকে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
স্থানীয় ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে রোরো ফেরি এনায়েতপুরী কোনো যানবাহন ছাড়াই প্রায় ১২শ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১১টার দিকে ফেরিটি শুধু যাত্রী নিয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পোঁছায়। মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে অস্বাভাবিক হারে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি না যাওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে, করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উদযাপনে বাড়ি না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বেঁচে থাকলে উৎসব পরেও করা যাবে।”
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকালে গণভবনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নতুন ‘অবকাঠামো ও জলযান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।