সংস্কৃতি

স্বাধীনতার ৫০ বছরে নির্বাচিত ৫০ মঞ্চনাটক || আলোচনা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া

ইব্রাহীম খলিল জুয়েল: স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা- এমন নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো। সংস্কৃতির জগৎটি অনেক বড়। অনেক শাখায় বিভক্ত। সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী শাখা হলো মঞ্চনাটক। বিগত অর্ধ শতাব্দীতে মঞ্চনাটক অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশে মঞ্চনাটক সত্যিকার অর্থে বিকাশ লাভ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন নতুন মঞ্চনাটক আন্দোলনের জন্ম দেয়। স্বাধীনতার পর একঝাঁক তরুণের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে শিল্প-সংস্কৃতির এই শক্তিশালী মাধ্যমটি।

সম্প্রতি মঞ্চনাটকের অতীত ও বর্তমানে দৃষ্টি ফেরাতে বাছাই করা হয়েছে ৫০ বছরে নন্দিত ৫০ নাটক। যার শিরোনাম দেয়া হয়েছে- “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর : নির্বাচিত ৫০ প্রযোজনা”।

আরও পড়ুন: কবরীর জন্য ববিতা, শাবানা, রুনা লায়লা, সাবিনাদের প্রার্থনা

মঞ্চনাটক নিয়ে এই জরিপটি করেছে থিয়েটারবিষয়ক সাময়িকী “থিয়েটারওয়ালা”। পত্রিকাটির ৩৩তম সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে মঞ্চনাটকের ৫০টি প্রযোজনার নাম। কাগজের সংখ্যাটি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে জরিপে নির্বাচিত ৫০টি নাটকের নাম, পোস্টার ও নাটক নিয়ে আলোচনা।

থিয়েটারওয়ালা’র তালিকায় রয়েছে স্বাধীনতার ঠিক পরের নাটক, আবার বেশ কিছু নতুন নাটকও রয়েছে। জ্যেষ্ঠ নির্দেশকদের পাশাপাশি তরুণ নির্দেশকদের নাটকও রয়েছে।

যাঁরা ছিলেন নির্বাচক

৭৮ জন নির্বাচক ১০০ নাটকের একটি তালিকা থেকে এই নাটকগুলো বাছাই করেছেন। তরুণ ও জ্যেষ্ঠ এই নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন- রামেন্দু মজুমদার, প্রয়াত মান্নান হীরা, মফিদুল হক, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আব্দুল্লাহেল মাহমুদ, বিপ্লব বালা, ফয়েজ জহির, আজাদ আবুল কালাম, রাহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ বারী, গোলাম সারোয়ার, মাসুম রেজা প্রমুখ।

“নির্বাচিত-৫০” এ স্থান পেলো যে সব নাটক

নির্বাচিত বা নন্দিত ৫০ নাটকের মধ্যে মঞ্চে আসার সময়কাল ধরে প্রযোজনাগুলো হলো-

পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (থিয়েটার, নাটক সরণি)।। দেওয়ান গাজীর কিসসা (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়)।। কিত্তনখোলা (ঢাকা থিয়েটার)।। কোপেনিকের ক্যাপ্টেন (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়)।। নূরলদীনের সারাজীবন (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়)।। এখনও ক্রীতদাস (থিয়েটার, নাটক সরণি)।। ম্যাকবেথ (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও থিয়েটার, নাটক সরণি)।। কেরামতমঙ্গল (ঢাকা থিয়েটার)।। নানকার পালা (আরণ্যক নাট্যদল)।। গ্যালিলিও (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়)।। হাতহদাই (ঢাকা থিয়েটার)।। কোকিলারা (থিয়েটার, নাটক সরণি)।। বিষাদ সিন্ধু (ঢাকা পদাতিক)।। চাকা (ঢাকা থিয়েটার)।। শেষ সংলাপ (গণায়ন নাট্য সম্প্রদায়)।। দর্পনে শরৎশশী (দেশ নাটক)।। তুঘলক (নাট্যকেন্দ্র)।। কোর্ট মার্শাল (থিয়েটার আর্ট ইউনিট)।। লোক সমান লোক (আইটিআই)।। গোলাপজান (থিয়েটার আর্ট ইউনিট)।। ইডিপাস (তির্যক)।। জয়জয়ন্তী (আরণ্যক নাট্যদল)।। সক্রেটিসের জবানবন্দী (দৃশ্যপট)।। বনপাংশুল (ঢাকা থিয়েটার)।। সার্কাস সার্কাস (প্রাচ্যনাট)।। এ ম্যান ফর অল সিজনস্ (প্রাচ্যনাট)।। ময়ূর সিংহাসন (আরণ্যক নাট্যদল)।। আরজ চরিতামৃত (নাট্যকেন্দ্র)।। প্রাচ্য (ঢাকা থিয়েটার)।। সঙক্রান্তি (আরণ্যক নাট্যদল)।। নিত্যপুরাণ (দেশ নাটক)।। রাঢ়াঙ (আরণ্যক নাট্যদল)।। বিনোদিনী (ঢাকা থিয়েটার)।। মানগুলা (পালাকার)।। একশ’ বস্তা চাল (বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাপান দূতাবাস, জাপান ফাউন্ডেশন, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ-প্রযোজনা)।। অহরকণ্ডল (জন্মসূত্র)।। অ্যাম্পিউটেশন (সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটার)।। রাজা এবং অন্যান্য… (প্রাচ্যনাট)।। ধাবমান (ঢাকা থিয়েটার)।। খনা (বটতলা)।। কহে বীরাঙ্গনা (মণিপুরি থিয়েটার)।। মহাজনের নাও (সুবচন নাট্য সংসদ)।। শাইলক এ্যান্ড সিকোফ্যান্টস (থিয়েটারওয়ালা রেপাটরি)।। জ্যোতিসংহিতা (জীবন সংকেত)।। সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (আরশিনগর ঢাকা)।। ক্রাচের কর্নেল (বটতলা)।। মাতব্রিং (বিবর্তন যশোর)।। রিজওয়ান (নাটবাঙলা)।। রহু চণ্ডালের হাড় (আরশিনগর ঢাকা)।। লেট মি আউট (তাড়ুয়া)।।

থিয়েটারওয়ালা’র সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার জানান, “তারা ১০০ নাটকের একটি তালিকা করে পাঠিয়েছিলেন নাট্যসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের কাছে। তারা তালিকা নিয়ে নিজেদের মতামত পাঠিয়েছেন। তালিকার বাইরেও বেশ কিছু নাম যোগ করেছেন। ফলে তাদের পছন্দই নাটক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে।”

নির্বাচকরা জানান, “এই তালিকায় থাকা প্রযোজনাগুলো ‘সেরা’ কিংবা ‘প্রধান’ নয়। তালিকার বাইরেও অনেক ভালো নাটক আছে। কেবল তালিকা সংক্ষিপ্ত করা এবং ৫০ বছর শেষে ৫০টি প্রযোজনা নির্বাচন করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।”

নাটক নির্বাচনে কোনো ক্রম উল্লেখ করা হয়নি। নাটক মঞ্চায়নের সময়কাল ধরে নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে কেবল। হাসান শাহরিয়ার বলেন, “যতগুলো ভালো নাটক নির্বাচন করি না কেন, এর বাইরেও ভালো নাটক থাকবে। আমি স্পষ্ট করে লিখে দিয়েছি, এই তালিকার বাইরেও যেকোনো নাটক নির্বাচকেরা পাঠাতে পারেন।”

হাসান শাহরিয়ার থিয়েটারওয়ালা‘র সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, ‘থিয়েটারওয়ালা’ও ঠিক তাই মনে করে। স্বাধীনতার পর থেকে আজঅব্দি যত প্রযোজনা মঞ্চে এসেছে তার থেকে ৫০টি প্রযোজনাকে ‘সেরা’ বা ‘প্রধান’ আখ্যায়িত করা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না। তাই, আমরা নির্বাচকদের এই মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে প্রযোজনাগুলোকে ‘নির্বাচিত প্রযোজনা’ অভিধায় অভিহিত করার সিদ্ধান্ত নিই। এবং শিরোনামটির নাম দেই- ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর : নির্বাচিত ৫০ প্রযোজনা’।

প্রযোজনাসংশ্লিষ্ট নাট্যকার, নির্দেশক ও কলাকুশলীদের নামও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। যে শিল্পীর অন্তত তিনটি প্রযোজনা ৫০টি প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে, রাখা হয়েছে তাঁদের নামও। নির্দেশনায় আছেন আবদুল্লাহ আল মামুন, আলী যাকের, মামুনুর রশীদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও আজাদ আবুল কালাম।

নাট্যকার হিসেবে আছেন সেলিম আল দীন, মামুনুর রশীদ, সৈয়দ শামসুল হক, বার্টল্ট ব্রেখট।

মঞ্চপরিকল্পক হিসেবে নাম রয়েছে সৈয়দ জামিল আহমেদ, শেখ মনসুর উদ্দিন আহমেদ, কামালউদ্দিন কবির, ফয়েজ জহির, কামরুজ্জামান রুনুর।

আলোক পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ, ঠাণ্ডু রায়হান, কামরুজ্জামান রুনু, নাসিরুল হক খোকন, সৈয়দ লুৎফুর রহমান।

পোশাকে শিমূল ইউসুফ ও কাজী তৌফিকুল ইসলাম।

আবহসংগীত পরিকল্পনায় শিমূল ইউসুফ ও কে বি আল আজাদ রয়েছেন।

রূপসজ্জায় বঙ্গজীৎ দত্ত, নূরুল হক ও শুভাশীষ দত্ত তন্ময়।

পোস্টার ডিজাইনে আছেন আফজাল হোসেন, আনওয়ার ফারুক ও শাহীনুর রহমান।

নাট্যদল হিসেবে আছে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, থিয়েটার (বেইলি রোড), আরণ্যক নাট্যদল, ঢাকা থিয়েটার ও প্রাচ্যনাট।

ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া

রামেন্দু মজুমদার

নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ খুব একটা পছন্দ করি না। কারণ, এসব নিয়ে একটা বিতর্ক থেকেই যায়। তবে আমরাও উল্লেখযোগ্য নাটক চিহ্নিত করতে চাই। কিন্তু শিল্প–সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা প্রতিযোগিতা সমর্থন করি না।”

রেজা আরিফ

‘নির্বাচিত ৫০’-এ স্থান পেয়েছে নাট্যদল ‘আরশিনগর ঢাকা’-এর দুটি মঞ্চনাটক ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ এবং ‘রহু চণ্ডালের হাড়’ । আরশিনগর ঢাকা-এর দলনেতা রেজা আরিফ ধূমকেতু ডটকমকে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে থিয়েটারওয়ালা পত্রিকা ৫০টি নন্দিত নাটকের যে তালিকা করেছে, সেটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।  সময়োপযোগী এই শ্রমসাধ্য কর্মযজ্ঞের জন্য থিয়েটারওয়ালা পত্রিকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। কোনো জরিপই হয়তো সম্পূর্ণ নির্ভুল হয় না, সেক্ষেত্রে ৫০টি সেরা নাটক নির্বাচন করা একটি দুরূহ ব্যাপারই বটে। আরশিনগরের দুটি প্রযোজনা- ‘সে রাতে পূর্ণিমা ছিল’ এবং ‘রহু চণ্ডালের হাড়’ – এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। থিয়েটার নামক শিল্পমাধ্যমটির প্রতি আরশিনগরের নবীন নাট্যকর্মীদের প্রচণ্ডরকম ভালোবাসা এবং ডেডিকেশনের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করি।”

রেজা আরিফ আরো বলেন, “থিয়েটারকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও স্বীকৃতির জন্য এ রকম নির্বাচন ও প্রতিযোগিতার সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি। সারা পৃথিবীতে শিল্পের সকল শাখায় প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের চল রয়েছে। এমনকি প্রাচীন গ্রিসে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই থিয়েটার শিল্পকলার স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং জনসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিল।“

মোহাম্মদ আলী হায়দার

নাট্যদল বটতলা’র দুটি নাটক ‘খনা’ এবং ‘ক্রাচের কর্নেল’ স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। জানতে চাইলে নাটক দুটির নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার ধূমকেতু ডটকমকে বলেন, “অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো। ৫০ বছরে ৫০টি নির্বাচিত বা নন্দিত নাটক, যেসব নাটক দর্শক দেখেছে বা আলোচনা হয়েছে সে নাটকগুলো আসলে এসেছে। এছাড়াও আরো অনেক নাটক আছে যেগুলো অবশ্যই এই তালিকার মধ্যেও আসতে পারে বা তালিকাটা আরো বড় হলে তার মধ্যে আসতে পারে। তবে নিজের দলের দুটি নাটক এই তালিকায় স্থান পেয়েছে এতে একটা ভালো লাগার ব্যাপার তো আছেই।”

তিনি আরো বলেন, “তবে আমার মনে হয় আরেকটু গবেষণা করে, একেবারেই বছর ধরে ধরে করা যেতে পারে। যেমন- কেউ যদি বাংলাদেশের ৫০টি নাটক পড়তে চান, কিংবা কেউ যদি চান কিছু নাটক বিদেশী ভাষায় অনুবাদ করবেন- তাহলে একটা ডকুমেন্ট হিসেবে পেয়ে গেলো সবাই। সে জায়গা থেকে আমার মনে হয় এরকম গবেষণা আগে হয়নি। যা হয়েছে সেটা অভিনন্দনযোগ্য। তবে হ্যাঁ, আমি মনে করি এর চেয়ে আরো অনেক ভালো নাটক আছে যেগুলো এই তালিকায় আসতে পারতো।”

বাকার বকুল

তালিকায় রয়েছে তাড়ুয়া নাট্যদলের “লেট মি আউট” নাটকটি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাটকটির নির্দেশক বাকার বকুল ধূমকেতু ডটকমকে বলেন, “আসলে একটা নাটকের সাথে আরেকটা নাটকের তুলনামূলক বিচারে যাওয়াটা আমার কাছে কখনো মনে হয়না যে এটা একটা বিচার্য বিষয়। যেমন- আমি যদি বলি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, লালন গীতি এগুলো একটির সাথে আরেকটির তুলনামূলক বিচার করব তাহলে আমার মনে হয় এটা একটা অন্যায়ও বটে। প্রতিটির আলাদা স্বকীয়তা আছে। প্রতিটি নাটক একটি সময়কে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠে। তবে আরেকটি বিষয় হলো- থিয়েটারওয়ালা যেটা করেছে- স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০টি নাটককে উল্লেখযোগ্য নাটক হিসেবে নির্বাচন করেছে। এটা অবশ্যই একটি ভালো দিক। এখানে যে নাটকগুলো এসেছে আমার দেখে মনে হয়েছে আসলেই তো এই নাটকগুলো আসা উচিৎ। এর বাইরেও অনেক নাটক আছে। আসলে ৫০টি তো একটা বাউন্ডারি। ৫০ বছর অনেক সময়। এই সময়ে অনেক ভালো নাটক হয়েছে। আমি মনে করি আমরা যারা নতুন শুরু করেছি আমাদেরটা আসার আরো সময় আছে। এর পরেও যেহেতু চলে এসেছে ভালো তো অবশ্যই লেগেছে। এর ফলে দায়িত্ববোধও অনেক বেড়ে গেলো। ৭৮ জন বিচারক বা নির্বাচক জ্যেষ্ঠ থেকে শুরু করে নবীনদের নাটককেও স্বীকৃতি দিয়েছেন। থিয়েটারওয়ালা কিন্তু বারবার বলেছে যে- আমরা কিন্তু বলছি না যে এগুলো সেরা। তবে এমন একটি উদ্যোগ আগে তো কেউ নেয়নি। তাই থিয়েটারওয়ালা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত।”

সাইফ সুমন

এ প্রসঙ্গে থিয়েটারওয়ালা‘র সহযোগী সম্পাদক, নির্দেশক-নাট্যকার-অভিনেতা সাইফ সুমন ধূমকেতু ডটকমের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিবেদককে বলেন, “আসলে এটা মূল্যায়নের কিছু নেই। থিয়েটারওয়ালা এটা সমন্বয় করেছে মাত্র। এটা একটা ভোট প্রক্রিয়ায় হয়েছে। ভোট সংগ্রহ করা, সেগুলো গণনা করা এবং সেটার একটা সারণী তৈরি করা- এ কাজগুলোই করেছে থিয়েটারওয়ালা। তারা উদ্যোগটা নিয়েছে। কাজটা পুরোপুরি করেছেন ভোটাররা। ৭৮ জন নির্বাচক ভোট দিয়েছেন, ২৩৪টি নাটকের নাম এসেছে। সেখান থেকে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ৫০টি নাটকের নাম আমরা নির্বাচন করেছি। এটাই প্রক্রিয়া। আমরা চেয়েছি স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০টি নাটকের নাম নাট্যসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমেই নির্বাচিত করার জন্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *