নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাঙালি জাতির বেদনাবিধুর দিন ১৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে এ দিনেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা। সেই শোকের দিন স্মরণে প্রতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে আসছে বাঙালি জাতি। এই দিনে স্মৃতিসৌধের রক্তে রাঙা লাল বেদিতে ফুল দিয়ে সূর্যসন্তানদের সম্মান জানানো হয়।
এ কারণে সারাবছর অনেকটা অবহেলায় পড়ে থাকলেও ১৪ ডিসেম্বরের আগে সাজানো-গোছানো হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। আগামী ১৪ ডিসেম্বর ঘিরে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধেও এখন চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। চলছে যাবতীয় সাজগোজও।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রবেশপথ ধুয়ে-মুছে সাফ করা হয়েছে। আঁকা হয়েছে সাদা ও লাল রঙের আল্পনা। স্মৃতিসৌধের মূল স্তম্ভ পরিষ্কার করে নতুনভাবে লাল রং করা হয়েছে। ছাটা হয়েছে ভেতরের মাঠের ঘাস। গাছের বাড়তি ডালপালা, জমে থাকা পানি, ফুলের গাছসহ সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
শহীদদের সমাধিগুলোর আগাছাও পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের প্রবেশপথে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধি দুটিতে করা হয়েছে নতুন রং।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এই স্মৃতিস্তম্ভে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা জানাতে আসে সর্বস্তরের জনতা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ঘিরে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকাটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিয়েছে। এলাকায় সীমিত করা হয়েছে চলাচল। স্মৃতিসৌধের ভেতরে শুধু নিয়োজিত শ্রমিক, সিটি করপোরেশনের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকতে পারছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এক মাস ধরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ৩০০ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের কেউ ধোয়া-মোছার কাজ করছেন, কেউ আল্পনা আঁকছেন, কেউ আগাছা সাফ করছেন। ইতোমধ্যে অনেক কাজ শেষ হয়েছে, বর্তমানে কিছু স্থানে রঙের কাজ চলছে।
আরো পড়ুন: