মাতৃভূমি

‘স্বাধীনতার পর আমাদের বড় অর্জন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর বলেছেন, গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। এরপর বড় অর্জন হলো আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। স্বাধীনতার পর যেখানে আমরা ৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারতাম না, সেখানে আমরা ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়ানোর পরও খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকছে। কিছু উদ্বৃত্ত চাল আমরা বিদেশেও রপ্তানি করছি। এটা আমাদের জাতীয় জীবনে এক অসামান্য অর্জন এবং এই অর্জন সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের ডাক এবং তার কিছু নির্দেশনার ফলে।

মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে যে প্রেরণা দিয়েছেন তাকে কৃষি বিজ্ঞানীরা উৎসাহিত হয়েছে একের পর এক ধানের উচ্চ ফলন শীল জাত উদ্ভাবন করছে। কৃষক সেই জাত মাঠে আবাদ করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিপ্লব সাধন করেছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ ভবনের মিলনায়তনে ব্রির নব নিয়োগপ্রাপ্ত ৪০জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও আঞ্চলিক অফিসের প্রায় ১০০জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রি মহাপরিচালক নব নিয়োগপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ সকল বিজ্ঞানীদের সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক এবং পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালকেুজ্জামান। সভাপতত্বি করেন বাংলাদশে ধান গবেষেণা ইনস্টটিউিটের উচ্চ শক্ষিা ও গবষেণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির প্রশিক্ষণ বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো. শাহাদাত হোসেন।

পরে নতুন বিজ্ঞানীদের হাতে ব্রি প্রণীত দুটি বই তুলে দেয়া হয়। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, আঞ্চলিক কার্যালয় ও শাখা প্রধানগণ।

আরো পড়ুন:

ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শুরু ২০ ডিসেম্বর

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *