বিনোদনশোবিজসর্বশেষ

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে কেন হেনস্থা করছেন প্রযোজক!

বিনোদন ডেস্ক, সুখবর ডটকম: দিন কয়েক ধরেই টলিপাড়া উত্তাল। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে হেনস্থা করছেন ‘শিবপুর’ ছবির প্রযোজক। অভিনেত্রীর ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হয়েছে! ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে, অভিনেত্রীর নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে সমাজমাধ্যমে। গত এক মাস ধরে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান স্বস্তিকা।

এ বার সরাসরি নমুনা ছবি পাঠানো হল অভিনেত্রীর সহকারীর ইমেলে। হুমকি ইমেল পাঠিয়েছেন শিবপুর ছবির প্রযোজক সন্দীপ সরকারের ঘনিষ্ঠ রবিশ শর্মা। যিনি নিজেকে হ্যাকার হিসাবেই পরিচয় দিয়েছেন। শুধু যে অভিনেত্রীর বিকৃত ছবি পাঠিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন, এমনটা নয়।

তিনি ইমেলে লেখেন, ‘‘যা করেছি, এর থেকেও খারাপ কিছু করতে পারি। চুপচুাপ নিজের ম্যাডামকে বলুন প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে রফা করে নিতে। নয়তো এর থেকেও খারাপ ছবি ছড়িয়ে দেব সমাজমাধ্যমে।’’

গত বছর জুলাই মাসে এই ছবির শুটিং হয়। আগামী ৫ মে ছবি মুক্তির দিনও ধার্য হয়েছে। ইন্দো-আমেরিকানার ব্যানারে এই ছবির দুই প্রযোজক অজন্তা সিংহ রায় এবং সন্দীপ সরকার।

তাঁদের দাবি, পুরো পারিশ্রমিক নিয়েও ছবির প্রচারের অংশ নিতে চাইছেন না অভিনেত্রী। সেই কারণেই এই হুমকি। শুধু তা-ই নয়, প্রযোজক সন্দীপ সরকার মেইল করে জানান, তিনি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রাহাজানির মামলা করবেন।

এক জন আমেরিকান নাগরিকের তরফে টাকা নিয়ে তাঁকে হেনস্থা করেছেন। সন্দীপ ই-মেইলে লেখেন, ‘‘এখন তো সবে শুরু, এর পর কী হয় দেখবেন! আপনাদের মতো মানুষকে কী ভাবে শায়েস্তা করতে হয়, তা আমার ভালই জানা আছে।’’

স্বস্তিকা এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি সরাসরি লিখেছেন, সন্দীপ তাঁর পরিচিত এবং আমি নাকি ওকে হেনস্থা করছি। আমি সহযোগিতা না করলে সেই ছবি পর্ন সাইটে আপলোড করে দেওয়ার কথা বলেছেন।’’ এত কিছুর পরেও সন্দীপ নাকি স্বস্তিকার কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আপাতত এই ছবির প্রচারপর্বের সঙ্গেও নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাইছেন না স্বস্তিকা। বললেন, ‘‘আমার মনের অবস্থা ভাল নেই। প্রতি দিন সকাল সকাল ডেথ থ্রেট পেলে আর কাজের মানসিকতা থাকে না!’’

সূত্র:আনন্দবাজার

এসি/

আরো পড়ুন:

কী কারণে বার্সেলোনা ছাড়লেন শাকিরা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *