স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্দালুসিয়া অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
আন্দালুসিয়ার কোস্তা দেল সলে জনপ্রিয় রিসোর্ট শহর এস্তেপোনার কাছাকাছি উচ্চ ভূমিতে গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে একজন জরুরি সহায়তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলে অগ্নিনির্বাপণ-কর্মীদের সাহায্য করার জন্য সেখানে স্পেন সরকার একটি সামরিক ইউনিট মোতায়েন করেছে।
দাবানল-কবলিত এলাকার ছয়টি শহর ও গ্রাম থেকে লোকজনকে গতকাল রোববার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েক মাইল দূর থেকে দাবানলে সৃষ্ট ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এ ছাড়া উপদ্রুত অঞ্চলের পাঁচটি লোকালয়ের বাসিন্দাদের গত শুক্রবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দাবানলে অন্তত সাত হাজার ৪০০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে।
‘এটা অমানবিক। এমন কিছু আগে কখনও দেখা যায়নি’, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা বলেন দাবানলে বাস্তুচ্যুত আদ্রিয়ায়ানা ইয়াকব।
‘আগুনের লেলিহান শিখাগুলো যেভাবে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ছুটে যাচ্ছিল, তা ছিল বিস্ময়কর’, যোগ করেন আদ্রিয়ানা।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পেপা রুবিও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা কয়েক দিন ধরে ঘুমাইনি। এটা ভয়াবহ।’
এবারের গ্রীষ্মে ইউরোপে বেশ কয়েকটি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন উষ্ণতা ও শুষ্ক আবহাওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, যা দাবানল সৃষ্টির রসদ যোগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিল্পযুগ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের উষ্ণতা এরই মধ্যে প্রায় এক দশমিক দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এবং বিশ্বজুড়ে যদি কার্বন ও ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের মাত্রা যদি না কমিয়ে আনা যায়, তাহলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তেই থাকবে।
/জেড এইচ