নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে চলাচলকারী স্পিডবোট চালকদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৩৪টি স্পিডবোটের নিবন্ধন সনদ দিয়েছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন জানান, নৌ-আইন অনুযায়ী নদীতে চলাচলের ক্ষেত্রে স্পিডবোটের রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। দক্ষ সনদধারী চালক থাকতে হবে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে চলাচলকারী স্পিডবোটের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে সনদগুলো।
তিনি আরও জানান, নৌ অধিদপ্তর রেজিস্ট্রিশন ও সার্ভে পরীক্ষা করে থাকে। বিআইডব্লিউটিএ চলাচলের রুট পারমিট দিয়ে থাকে। এটি দিয়ে দিলে এ নৌপথে স্পিডবোট চালাতে আর আইনগত বাধা নেই। আপাতত ১৩৪টি আবেদন নেওয়ার পর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে। এরপর যাত্রীদের চাহিদা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ১৯০টি স্পিডবোট তালিকাভুক্ত হয়। যেখানে মালিক, চালকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে শিমুলিয়া, বাংলাবাজার, মাঝিকান্দি ঘাটের ১৭৪টি ও পদ্মা সেতুর ৮টি স্পিডবোট আছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের ৮৩টি স্পিডবোট, শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটের ২৩টি স্পিডবোট এবং মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ২৯টি স্পিডবোট এ নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে। যাদের রেজিস্ট্রেশন সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাবাজার ঘাটের ৫৫টি স্পিডবোট চালকদের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। বাকিদের ধাপে ধাপে করা হবে।
জানা গেছে, চলমান নিবন্ধন কার্যক্রমে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা চালকদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারপর সার্ভে সনদ, ড্রাইভার সনদ দেওয়া হবে। যা আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এরপর বিআইডব্লিউটিএ’র মেরিন সেফটি বিভাগ থেকে রুট পারমিট সনদ দেওয়া হলে স্পিডবোট নদীতে চলাচলে আর আইনগত বাধা থাকবে না।
উল্লেখ্য, এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধের আগে প্রায় চার শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করত। চলতি বছরের ৩ মে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটের কাছে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হয়। এরপর থেকেই এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।