মেহেরপুরের গাংনীতে সাবিনা খাতুন (৩৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন (৩২)।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, মাস খানেক আগে হুদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর ওলি আহম্মেদের ছেলে বিদ্যুতের সঙ্গে কুমারীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ছাবিনা খাতুনের বিয়ে হয়। এটি ছাবিনার দ্বিতীয় বিয়ে আর বিদ্যুতের পঞ্চম বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সপ্তাহ খানেক আগে বিদ্যুত স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসে। মঙ্গলবার বিকেলে সাবিনা ও তার ভাই স্বামীর বাড়িতে আসে।
সন্ধ্যায় সাবিনা ও তার ভাইকে মারধর করে বিদ্যুত। রাতেই সাবিনার ভাই নিজ বাড়িতে চলে গেলেও সাবিনা থেকে যায় স্বামীর বাড়ি। ভোরে বিদ্যুতের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সাবিনার মরদেহ দেখতে পায়। এদিকে দুপুরে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে খেলা করতে গিয়ে বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় ছেলেরা। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সকালে সাবিনার মরদেহ উদ্ধারের পর বিদ্যুতের সন্ধান করছিল পুলিশ। দুপুরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।