বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল কলেজ) এমপিওভুক্ত করার লক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,বেসরকারি স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.shed.gov.bd), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) এবং বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ওয়েবসাইট (www.banbeis.gov.bd) এ অনলাইন এমপিও অ্যাপ্লিকেশন (Online MPO Application) শিরোনামে প্রদর্শিত লিংকয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি, ই-মেইল বা চিঠির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বা এর অধীনস্থ কোন দপ্তরে গ্রহণ করা হবে না বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সব কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। এ পদ্ধতিতে নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট মানদন্ডের ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এবছরের মার্চ মাসে নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০২১ প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০১৮ সালে এমপিওভুক্তির জন্য ৯ হাজার ৪৯৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করেছিল। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয় দুই হাজার ৬১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০১৯ সালের শেষদিকে এসে বিশেষ ক্ষমতা বলে সরকার আরও সাতটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল। তবে এবার এমপিওভুক্তির বেশ কিছু শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ছাড়া দুই বছর আগেই যেহেতু মাত্র দুই হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়েছে। ফলে আগামী অর্থবছরেও সব ধরনের প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে সর্বোচ্চ হাজারখানেক প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণের সুযোগ রয়েছে।
২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
পাসের হার স্তরভেদে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন এমপিও পেতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ ও পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে।