প্রচ্ছদ

স্কুলগুলোতে চলছে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ এটি আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই গানের মোট লাইন ২৫টি।

তবে প্রথম ১০টি লাইন ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

তবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই জাতীয় সঙ্গীত সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুদ্ধভাবে গাওয়া হয় না। জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধভাবে গাওয়ার রয়েছে কিছু নিয়মকানুন। সেই নিময়কানুন মেনে তা পরিবেশন করা হলে সেটাই হবে আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি যথাযথ সম্মানপ্রদর্শন।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রশিক্ষক ইপা বড়ুয়া।

ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কয়েকটি স্কুলে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। স্কুলগুলো যথাক্রমে: কালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যোগেন্দ্র মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটরডেম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনাইউল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়।

রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রশিক্ষক ইপা বড়ুয়া বলেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি মৌলভীবাজারের আয়োজনে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত ও বাংলা সঙ্গীত সংস্কৃতি শিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মশালার অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্কুলের ছেলে-মেয়েদের শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত শিখাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। তবলায় সহযোগিতা করছেন জয়ন্ত পাল জয়।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে শ্রীমঙ্গলের উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পদ্ধতি শিখিয়ে আসছি। এ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর অনেক শিক্ষার্থীরাই নির্ভুলভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারছে দেখে খুব ভালো লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সঙ্গীত কোনোভাবেই ভুল গাওয়া যাবে না। ভুল গাওয়া মানেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করার শামিল। একদম সঠিক উচ্চারণে এবং সুরে শুদ্ধ করে গাইতে হবে। সেই সঙ্গে গাওয়ার সময় এর প্রতি যথাযথ সম্মানও দেখাতে হবে। যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় ও জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়, তখন উপস্থিত সবাইকে জাতীয় পতাকার দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে।

যখন পতাকা প্রদর্শন না করা হয়, তখন সবাইকে বাদক দলের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে হবে এবং কারও মাথায় টুপি থাকলে খুলে ফেলতে হবে। অনেককেই বুকে হাত রেখে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যায়। এটি আসলে সঠিক নয়। জাতীয় সংগীত গাইতে হবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলেও জানান রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রশিক্ষক ইপা বড়ুয়া।

আরো পড়ুন:

এ বছরেও প্রাথমিকে দেওয়া হবে ‘অটো পাস’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *