ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদির নারীরাও এগিয়ে চলছেন। বর্তমানে সৌদি আরবের নারীদের সাইকেল চালানোর ঘটনা চোখে পড়ার মতো। সৌদির কঠিন শাসন উপেক্ষা করেই এই দুই চাকার বাহন নিয়ে ছুটে চলছেন নারীরা।
এ বিষয়ে সামার রাহবিনী বলেন, ‘সৌদির মতো রক্ষণশীল দেশের সড়কে নারীদের সাইকেল চালানোর ব্যাপারটা একসময় অসম্ভব বলেই ধরে নিয়েছিলাম। যেই দেশে একসময় নারীদের খেলাধুলা বাঁকা চোখে দেখা হতো’।
বাধা পেরিয়ে সামার এখন জেদ্দার লোহিত সাগর শহরে ‘সাহস’ নামে একটি সাইকেল ক্লাব পরিচালনা করছেন। যেখানে নারী-পুরুষ উভয়ই প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ‘সাহস’ নামটি বেছে নিয়েছি কারণ আমরা যা করছি তাতে আসলেই সাহস লাগে … রাস্তায় বের হয়ে সাধারণের মানুষের ভিড়ে অনুশীলন করা আমাদের জন্য সহজ নয়’।
২০১৭ সালের পর সৌদির পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। যুবরাজ সালমান দেশটির সামাজিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনায় আগের চেয়ে স্বাধীনভাবে চলতে ফিরতে পারছেন নারীরা। ২০১৭ সালের আগে সৌদিতে নারীদের সাইকেল চালানোর কথা যেখানে ভাবায় যেতো না।
অতীতে সৌদিতে নারীদের খেলাধুলা অনৈতিক কাজের অংশ হিসেবে দেখতো রক্ষণশীলরা। এখন সময় বদলেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদির নারীরাও রাজপথে সাইকেল চালাতে পারছেন। আর জেদ্দা শহরে এই দৃশ্য এখন স্বাভাবিক।
রাহবিনী সপ্তাহে দুইদিন রাইডিং-এর প্রশিক্ষণ দেন। সামনে সৌদির আরও ছেলে-মেয়ে সম্পৃক্ত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই উদ্যোক্তা।
আরো পড়ুন: